অগ্রসর রিপোর্ট : সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের একটি স্কুলে বিমান হামলায় ২২ শিশু ও ৬ শিক্ষক নিহত হয়েছে।
বুধবার জাতিসংঘের শিশুসংস্থা ইউনিসেফ একথা জানিয়েছে।
সংস্থাটির পরিচালক অ্যান্টনী লেক বলেন, ‘এটা মর্মান্তিক ঘটনা। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এ হামলা চালানো হয় তবে তা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এদিকে ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, ‘রুশ বা সিরিয়ার যুদ্ধ বিমানগুলো হাস গ্রামের একটি স্কুল কমপ্লেক্সসহ ছয়টি স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ১১ স্কুলপড়ুয়া শিশুসহ অন্তত ৩৫ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।’
লেক বলেন, স্কুল কম্পাউন্ডটিতে একাধিকবার হামলা চালানো হয়। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় আগে শুরু হওয়া সিরিয়ার এই গৃহযুদ্ধে কোন স্কুলের ওপর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
এই হামলার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন বলেন, ‘এটা অত্যন্ত ভয়াবহ ঘটনা। আমরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই বলেই আমি আশা করি।’
মানবাধিকার সংগঠনগুলো সিরিয়ার বেসামরিক স্থাপনা ও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও তাদের রুশ মিত্রকে অভিযুক্ত করেছে।
আসাদ বিরোধী ইদলিব মিডিয়া সেন্টার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে (গ্রিনিচ মান সময় ০৮৩০) এ হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যখন স্কুল থেকে বের হচ্ছিল তখন একটি রকেট স্কুলের প্রবেশ পথে আঘাত হানে। বিমান হামলার কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্লাস বাতিল করে শিশুদের ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।’
সর্বশেষ এই হামলার ফলে গত সাত দিনে ইদলিব প্রদেশে বিমান হামলায় ৮৯ জন বেসামরিক লোক প্রাণ হারাল।
একটি শীর্ষস্থানীয় বিরোধী সংগঠন এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ইস্তাম্বুল ভিত্তিক জাতীয় জোট জানিয়েছে, রুশ ও সিরীয় সরকারের যুদ্ধবিমানগুলো ইচ্ছাকৃতভাবেই শিশুদের স্কুলে হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক ব্যবহার করে।’
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।