স্বাস্থ্য সংবাদ- মুখমন্ডল ও মস্তিস্কের হাড়কে হাল্কা করার সুবিধার্তে এর ভেতরে কিছু বায়ুকুঠুরি আছে যার নাম সাইনাস (Sinus), আর এর প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন এর জন্য যেই রোগটি হয় তাই আমাদের অতিপরিচিত সাইনুসাইটিস (Sinusitis)। মাথার হাড়ে এমন চারটি সাইনাস রয়েছে, এর মধ্যে ম্যাকজিলারি ওফ্রন্টাল সাইনাস দুটি বড় তাই রোগ ও এতে বেশী হয়। এরা নাকের গর্তে গিয়ে শেষ হয়। মাথার হাড়ের ওজন কমানো ছাড়াও মানুষের মুখের শব্দকে ভারী এবং কিছুটা নাসিকাময় করায় এদের ভূমিকা আছে।
সাধারণত ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমনেই সাইনুসাইটিস হয়ে থাকে। তবে নাকে আঘাত পাওয়া, এলার্জি, ঠান্ডা লাগা, ধুলাবালু, নাকের হাড় বাকা হয়ে যাওয়া, নাকে টিউমার হওয়া নানাবিধ কারন গুলো এ রোগের প্রকোপ অনেকগুনে বাড়িয়ে তোলে। নাক দিয়ে অবিরত পানি পরা বা হটাৎ করে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়াটা সাইনুসাইটিস রোগের একদমই পরিচিত একটি উপসর্গ। সেই সাথে তীব্র-দীর্ঘ ও বিরক্তিকর মাথা ব্যথা তো রয়েছেই, সাইনাস গুলোর ঠিক উপরেও একটা চাপা ব্যথা থাকে। মাথা ভারী ভারী লাগা ও সবকিছু খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া এরোগটিকে নানাভাবে তীব্র অস্বস্তিকর একটি রোগে পরিনত করে। অনেক সময় এর সাথে জর, গা ম্যাজ ম্যাজ করা এবং মানসিক অবসাদ যোগ হয়ে রোগীকে ভীত করে তোলে।
অনেকের এই রোগটি বছরে কয়েকবার হয়ে থাকে, বিশেষ করে যারা বিভিন্ন এলার্জিতে ভোগেন, তাই এরোগ এড়াতে ঐসব ব্যাপারে বিশেষ সাবধান হওয়া আবশ্যক। শুষ্ক, খোলামেলা এবং যথেষ্ট আলো বাতাস আছে এমন ঘরে বসবাস সাইনুসাইটিসের সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করে। এতো কিছুর পরও যদি এরোগ হয়েই যায় তাহলে নাক,কান,গলা বিশেষজ্ঞের স্মরণাপন্ন হতে হবে। প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক, হিস্টাসিন জাতীয় কিছু অসুধ এবং প্যারাসিটামল এরোগে বেশ কার্যকারিতার দাবী রাখে। সেই সাথে নাকে বাষ্পের ভাপ নেয়া, পুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া এবং বিশ্রাম নেয়া এরোগে বেশ আরাম দেয়।