অগ্রসর রিপোর্ট : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাতনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নী টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন।
শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ শুক্রবার বিরোধী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী জনি লুকের বিরুদ্ধে ১৪,১৮৮ ভোটের ব্যাবধানে জয় লাভ করে হাম্পস্টিড ও কিলবার্ন-এর আসন ধরে রেখেছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২৮,০৮০।
এ ছাড়াও আরো তিন প্রবাসী বাংলাদেশী প্রার্থী রুশানারা আলী, রূপা হক, ও আফসানা বেগম তাদের স্ব স্ব আসনে জয়ী হয়েছেন।
জয়লাভ করার পর টিউলিপ হাম্পস্টিড ও কিলবার্নের ভোটারদের তাকে নির্বাচিত করায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন,‘আমাকে পুনরায় নির্বাচিত করায় হাম্পস্টিড ও কিলবার্ন-কে আরেকবার ধন্যবাদ। আমার ভোটার ও পরিবারকে ধন্যবাদ। কিন্তু জাতীয় ফলাফল বিশেষ করে অনেক মেধাবী এমপি হেরে যাওয়ায় দুঃখ লাগছে। সামনে কঠিন সময়। তাই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে।’
২০১৫ সালে, টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্স-এর সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির টিকেটে এমপি নির্বাচিত।
গত ২০১৭ সালের জুনে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে টিউলিপ হ্যাম্পস্টেডে এবং কিলবার্ন আসন থেকে ১৫ হাজার ৫ শ’ ৬০ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তিনি তার কনজারভেটিভ প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লেয়ার-লুইস লেল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪,৪৬৪ টি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছিলেন ১৮,৯০৪ টি ভোট।
টিউলিপ প্রথম ২০১৫ এর মে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এই আসনটি থেকে নির্বাচিত হন। তিনি তখন ২৩ হাজার ৯ শ’৭৭ টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী সায়মন মার্কাস পেয়েছিলেন ২২ হাজার ৮ শ’ ২৯ টি ভোট।
নির্বাচনের পরে, টিউলিপকে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের ছায়া মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং চার বছরের জন্য ছায়া শিক্ষামন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেয়ানারের টিমে ছায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রী হিসাবে যোগদান করেছিলেন।
তিনি অবশ্য জেরেমি করবিনের লেবার এমপিদের ওপর ৫০ অনুচ্ছেদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য থ্রি লাইন হুইপ আরোপের সিদ্ধান্তের পরে ছায়া মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
বিবিসির র্যাঙ্কিং অনুসারে, হাউস অফ কমন্সে টিউলিপের প্রথম বক্তৃতাকে শীর্ষ সাতটি স্মরণীয় বক্তৃতার মধ্যে বিবেচনা করা হয়েছিল।
১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচামে জন্মগ্রহণ করা টিউলিপ কিংস কলেজ লন্ডন থেকে দ’ুটি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। একটি ইংরেজি সাহিত্যে এবং অন্যটি রাজনীতি, নীতি ও সরকার বিভাগে।
উইকিপিডিয়া অনুসারে তিনি রিজেন্টস পার্কের সাবেক ও প্রথম বাঙালি মহিলা কাউন্সিলর এবং ক্যামডেন কাউন্সিল কমিউনিটির মন্ত্রিসভার সংস্কৃতি বিষয়ক সদস্য ছিলেন।