ষ্টাফ রিপোর্টার- ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই মালয়েশিয়া যাওয়ার নামে কাউকে টাকা না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।
গতকাল মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত মালয়েশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির সঙ্গে বৈঠক করেন। চার সদস্যের প্রতিনিধি দলটি গত রোববার দুপুরে ঢাকায় আসে। এ দলে রয়েছেন মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফা বিন ইব্রাহীম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি জুলকিফলি ইয়াকুব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি শাহিল ইসমাইল ও একই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জামরি বিন মাত জেইন। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শহীদুল ইসলামও তাদের সঙ্গে ঢাকায় এসেছেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে বৈঠকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সেখানে লোক পাঠানোর পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছিলেন, তাদের মধ্য থেকেই মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানো হবে। এর বাইরে আবার যারা নতুন করে নিবন্ধন করবেন, তারাও যাওয়ার সুযোগ পাবেন। মালয়েশিয়ায় আগামী তিন বছর ১৫ লাখ শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কম অভিবাসন মূল্যে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সে মূল্য এখনো নির্ধারণ হয়নি। এ বিবেচনায় আমাদের সরকারি প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলো উন্নত করছি। যেন সেখান থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে শ্রমিকদের পাঠাতে পারি। কৃষি, কারখানা, গৃহস্থালিসহ বিভিন্ন খাতে শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া। এ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন হবে ৯০০ রিঙ্গিত বা সাড়ে ১৭ হাজার টাকারও বেশি।
মালয়েশিয়ায় লোক নেয়ার বিষয়ে সেখানকার এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন গোষ্ঠী তৎপরতার বিষয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে কেউ কিনতে পারবে না।’ জানা গেছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে ১৭ আগস্ট ঢাকা ছাড়বে মালয়েশীয় প্রতিনিধি দল। আলোচনা হলেও শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে কোনো ধরনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে না।