তালাল রেজবী বলেন, ‘আমরা শুক্রবার মার্কেট খুলে দিচ্ছি। এজন্য বুধ ও বৃহস্পতিবার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলবে। এরই মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরও পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন।’
মাসুদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা এখানেই থাকতে চাই। ব্যবসা করতে চাই। আমাদের তো সব শেষ। কিছুই নাই। এখন চোখের পানিও শুকিয়ে গেছে। কাঁদতেও পারছি না।’ আজ বুধবার রাজধানীর গুলশান কাঁচাবাজার মার্কেট মালিক সমিতির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তার মতো ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩০০ দোকান মালিক এ সমাবেশে হাজির হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ২টার দিকে ডিসিসির দুটি মার্কেটে আগুন লাগে। আগুন লাগার ১৫ মিনিটের মধ্যে কাঁচা মার্কেটটি ধসে পড়ে। পরে আগুন পাকা মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার ঘোষণা দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। পুরোপুরি নেভাতে আরো সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরই মধ্যে বুধবার সকাল থেকে কাঁচা বাজারে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, খোলা জায়গাসহ ডিএনসিসি মার্কেটটির আয়তন প্রায় ১ লাখ ৮০০ বর্গফুট। পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে বিস্তৃত মার্কেটটির পাশাপাশি দুটি ভবন রয়েছে। পশ্চিম দিকের দোতলা ভবনটি ‘পাকা মার্কেট’ নামে পরিচিত। এটির নিচতলায় ফার্নিচার এবং দ্বিতীয় তলায় পোশাক, জুতা ও খেলাধুলার পণ্য বিক্রির খুচরা ও পাইকারি বাজার। পূর্বাংশে ‘কাঁচা ও সুপার মার্কেট’ নামের ভবনটি চারতলা। এর নিচতলায় কাঁচাবাজারের দোকান ও ওপরের তলাগুলোতে প্রসাধন ও খাদ্যপণ্যের পাইকারি দোকান। ধসে পড়া এই ভবনে ৪০০টি দোকান ছিল।