অগ্রসর রির্পোট : সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদের ‘যুদ্ধাপরাধের তথ্য অনুসন্ধান’ শুরু করেছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল। এর আগে সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল ঢাকা থেকে ফেনী পৌঁছে।
পরে সন্ধ্যায় জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধের তথ্য-উপাত্ত অনুসন্ধানে ফেনী সার্কিট হাউজে তিনি (নুরুল ইসলাম) জেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে তদন্ত দল অনুসন্ধানের কাজ শুরু করে। তদন্ত দল জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার জয়লস্কর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের মকবুল আহমাদের নির্দেশে হিন্দুপাড়ায় আগুন দিয়ে ১০ জনকে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। পরে একই এলাকার খুশিপুর গ্রামের আহসানউল্লাহ নামে অন্য এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ ছাড়াও শহীদদের পরিবার ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের সঙ্গে কথা বলবেন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান বলেন, ‘মকবুল আহমাদের নির্দেশে ফেনীর স্থানীয় রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে চট্টগ্রামে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। একইভাবে জেলার সর্বত্র মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।’
দাগনভূঁঞা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শরিয়ত উল্যাহ বাঙ্গালি তদন্ত দলের এই অনুসন্ধানের যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেরিতে হলেও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের তদন্ত শুরু করায় ট্রাইব্যুনাল ধন্যবাদ।’
তিনি আরও বলেন, ‘মকবুল আহমাদের নির্দেশে রাজাকার মোশাররফ হোসেন মশা দাগনভূঁঞা উপজেলার খুশিপুর গ্রামের আহসান উল্লাহ নামে অন্য এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। রাজাকার মশা এখনও জীবিত আছে। তার বাড়ি একই উপজেলার সাফুয়া গ্রামে।’ এছাড়া মকবুলের নির্দেশেই দাগনভূঁঞা উপজেলার জয়লস্কর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ায় আগু