অনলাইন ডেস্ক- ফেলানী হত্যা মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে গতকাল শুক্রবার আপিল আবেদন করেছেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম। এ কাজে তাকে সহায়তা করেছে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম)। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র উপপরিচালক টিপ সুলতান জানান, ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের নির্বাহী পরিচালক কিরিট রায়ের কাছে ভারতের উচ্চ আদালতে তার মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছে।
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিশেষ আদালতে গত ২ জুলাই ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারের রায়ে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। এর পর নুরুল ইসলাম গত ৮ জুলাই আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মাধ্যমে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের নির্বাহী পরিচালক কিরিট রায়ের কাছে ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচারের কার্যকর উদ্যোগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে একটি আবেদন করেন। ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, দুই দফা সাক্ষ্য দেয়ার পরও মেয়ে হত্যার বিচার পাইনি। আসামি অমিয় ঘোষের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। তা না করে বিএসএফ বিচারের নামে তামাশা করেছে। তাই ভারত সরকারের কাছে ন্যায্য বিচার পাওয়ার আশায় আবেদন করেছি।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কিশোরী ফেলানী খাতুন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নং ৯৪৭-এর কাছে বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয়। এ ঘটনার পর বিএসএফ তার আদালতে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ গঠন করে। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ও গত ২ জুলাই পুনর্বিচারের রায়েও তাকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়।