অগ্রসর রিপোর্ট : ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্ব চিরস্থায়ী। কারণ এটিকে চিরস্থায়ী হতেই হবে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এই অংশীদারিত্বকে আরো বেশি করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
‘শেখ হাসিনা : ইতিহাসের সঠিক পথে’ শিরোনামে রাজধানীর কসমস সেন্টারে দুই মাসব্যাপী আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনীতে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) গিয়ে দোবাইস্বামী একথা বলেন। এসময় স্ত্রী সঙ্গীতা তার সঙ্গে ছিলেন। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে কসমস সেন্টারের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খান উপস্থিত ছিলেন।
দোরাইস্বামী শিল্পকর্মে নতুন ধ্যান-ধারণা প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের নবীন চিত্রকরদের প্রতি আহ্বান জানান। এজন্য তিনি দু’দেশের চিত্রকরদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে বলেন, চিত্রশিল্পের মাধ্যমে অধিক মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।
হাইকমিশনার বলেন, চিত্রশিল্পের মাধ্যমে অধিক মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব বলে আমি মনে করি।
দোরাইস্বামী বাংলাদেশি চিত্রকর্মের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। বাংলাদেশে তার দেখা চিত্রকর্মগুলো সত্যিই দেখার মতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ‘অনন্য প্রতিভা সম্পন্ন’।
হাইকমিশনার বলেন, ‘আমাদের শিল্পকর্ম উদযাপনের এটিই সেরা সময়। আমি মনে করি আমাদের পক্ষে উদযাপনের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ এক দারুণ ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। আর তা হলো তার স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর চলমান উদযাপন।
দোরাইস্বামী বলেন, শিল্পকর্ম হলো সবচেয়ে মৌলিক অভিব্যক্তি যা শুধু পরিচিতিই প্রকাশ করে না বরং ইতিহাস, সংস্কৃতিকেও তুলে ধরে।
দু’দেশ কীভাবে উদযাপন করতে পারে তার ব্যাখ্যা দিয়ে দোরাইস্বামী বলেন, শিল্পকর্ম পারস্পরিক বিনিময়ের জন্য ভারত উন্মুক্ত। চিত্র প্রদর্শনী আয়োজনে গ্যালারী কসমসের সঙ্গে অংশীদারিত্ব পেলে খুশি হবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের যা প্রয়োজন তা হচ্ছে পরিকল্পনা। শিল্পকর্ম নিয়ে নিয়মিত প্রোগ্রাম হওয়া উচিত।’
হাইকমিশনার বলেন, তিনি ভারতীয় শিল্পীদের বাংলাদেশে আনতে আগ্রহী এবং ব্যাপারে আরো কিছু করতে চান। তিনি বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতে আরো কিছু করতে পারি।’
এ প্রসঙ্গে দোরাইস্বামী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্ব চিরস্থায়ী। কারণ এটিকে চিরস্থায়ী হতেই হবে।’ তিনি বলেন, ‘এই অংশীদারিত্বকে আরো বেশি করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’