নন্দীগ্রাম (বগুড়া) সংবাদদাতা- বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর শহরের কালিগঞ্জ সড়কের কালভাট ভেঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে আটকা পড়েছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে হাজার হাজার সাধারন মানুষ। নন্দীগ্রাম-কালিগঞ্জ সড়কের পৌর এলাকার বেলঘরিয়া নামক স্থানের কালভাট ভেঙ্গে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এই সড়কের সাথে কাহালু, কালিগঞ্জ, আত্রাই ও নওগাঁ জেলাসহ নন্দীগ্রাম উপজেলার ৪টি ইউনিয়নবাসীর যোগাযোগ রয়েছে। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারন মানুষ। ওই রাস্তাদিয়ে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, হলার, পিকআপ, মাইক্রো, সিএনজিসহ শতশত ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। সড়কটির বিভিন্ন স্থান মৃত্যুকূপে পরিনত হয়েছে। সম্প্রতি দৈনিক করতোয়াসহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সড়কের বেহাল দশা’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসে। এরইপ্রেক্ষিতে ঈদুল ফিতরপূর্বে নন্দীগ্রাম-কালিগঞ্জ সড়কের নামুইট রাস্তার সংস্কার কাজ করে। একসপ্তাহ যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্নস্থানে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে করে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘœ ঘটে। স্থানীয়রা বলছেন, লোক দেখানো সংস্কার কাজে জোড়াতালি দিয়ে ও তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করেছে। যার ফলে রাস্তার এই বেহাল দশা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে পৌর এলাকার বেলঘরিয়া নামকস্থানে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কটির কালভার্ট ভেঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। চলাচলরত যানবাহন বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। এতে যাত্রীদের দূর্ভোগ বাড়ছে ও যানবাহনের অতিরিক্ত তৈল-গ্যাস প্রয়োজন হচ্ছে। এই অজুহাতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। যাত্রীরা জানান, কালভার্ট ভেঙ্গে দুইদিন ধরে এই সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। তবুও সড়কটির কালভার্ট ভাঙ্গা স্থানটির সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসেনি। রাস্তাপথে এমনিতেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। যেখানে সেখানে ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। রাস্তায় বড়বড় গর্তে আটকে পড়ছে যানবাহন। কখন যেন ব্রিজ ভেঙ্গে প্রাণহানি ঘটবে? এমনি শঙ্কায় রয়েছেন যাত্রীরা। জরুরী ভিত্তিতে বেলঘরিয়ার কালভার্ট সংস্কার করাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার জোর দাবি তুলেছেন সাধারন যাত্রীরা।
এ প্রসঙ্গে পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার (শান্ত) জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ওই এলাকার জনসাধারন বিষয়টি আমাকে অবগত করে। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে বিষয়টি অবগত করাসহ দ্রুত সংস্কারের জন্য অনুরোধ করেছি।