স্থানীয় জাতের মাছের বিভিন্ন প্রজাতি সংরক্ষণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের জলজ পরিবেশ ও জীববৈজিত্র্য সুরক্ষায় স্থানীয় মাছের বিভিন্ন জাত সংরক্ষণ ও চাষে জনগণকে আগ্রহী হতে হবে।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৬ পালন উপলক্ষে আজ বঙ্গভবনের দরবার হলে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্থানীয় জাতের মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং কিছু জাতের মাছ বিলোপ হতে যাচ্ছে। এজন্য জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে অবশ্যই আমাদের স্থানীয় জাতের মাছের বিভিন্ন প্রজাতি আবাদ ও সুরক্ষায় জনগণকে আগ্রহী করে তোলার পদক্ষেপ নিতে হবে।
মৎস্য খাতের গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মৎস্য উৎপাদন ও সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন যথাযথ বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন এবং জনগণকে বিশেষ করে মাছ উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের এসব আইন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
মাছ উৎপাদন জোরদারে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সকল স্টেকহোল্ডার এবং স্বেচ্ছাকৃত ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি কার্যক্রম গ্রহণের ওপর তিনি জোর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের বিপুল জলজ সম্পদের যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং মাছ উৎপাদন জোরদারের দায়িত্ব শুধুমাত্র সরকারের একার নয়।’
তিনি বলেন, মৎস্যখাত প্রাণীজ প্রোটিনের চাহিদার ৬০ ভাগ পূরণ করছে অধিকন্তু দেশের জনসংখ্যার ১১ শতাংশ এই খাতে জীবিকা নির্বাহ করছে।
পরে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনের পুকুরে মাছ অবমুক্ত করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, মৎসা ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান খান এবং মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।