
তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের দূর্যোগে মানুষ প্রতিনিয়ত ক্ষয়Ñক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে রেড ক্রিসেন্ট আয়োজিত দুদিনব্যাপী ৫ম পার্টনারশীপ মিটিংয়ের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ঝুঁকিপূর্ণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সাড়া প্রদানে আরও সুসংগঠিত,কার্যকর ও পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে চার বছর মেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের (এসডিজি) সাথে সম্পৃক্ত করে এই পরিবকল্পনা তৈরী করা হয়েছে। এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সরকারের পাশাপাশি এ সংগঠন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সাফল্যের উল্লেখ করে মোফাজ্জøল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় এলাকায় ১৯৭০ সালে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ, ১৯৯১ সালে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ এ মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৭ জন। জান-মালের এই ক্ষয়-ক্ষতি ব্যাপক হ্রাসের জন্য তিনি “ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’র (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এর সহ সভাপতি প্রফেসর হাবিবে মিল্লাত এমপি, ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) বাংলাদেশস্থ প্রধান মি. ইখতিয়ার অঅসনালভ, ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজের (আইএফআরসি) এশিয়া প্যাসিফিক হেড অব অপারেশন মি.মারটিন ফালার এবং রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজের স্ট্যান্ডিং কমিশনের সদস্য ড.মাসিমো র্বারা।
এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিডিআরসিএস’র মহাসচিব বিএমএম মোজহারুল হক এনডিসি।
হাফিজ আহমদ মজুমদার বলেন, বিশ্বব্যাপী পরিচালিত মানবিক সহায়তামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত অভ্যন্তরীণ ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদারকরণ এই পার্টনারশীপ মিটিংয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে সরকারের সহায়ক সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মানবিক সহায়তামূলক কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত হবে।
সভায় আমেরিকা, বৃটিশ,জার্মান, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, বাহারাইন, সুইডেন, মায়ানমার, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, ইরান, ইতালি ও অস্ট্রেলিয়া জাতীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।