আদালতে এই আদেশের ফলে বদির জামিন বহাল থাকল বলে তার আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লীনা জানিয়েছেন।
দুর্নীতির মামলায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে বদিকে নিম্ন আদালতের দেয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন। একই মামলায় হাইকোর্ট থেকে বদিকে দেয়া জামিন স্থগিতের জন্যও ওই দিনই চেম্বার আদালতে আবেদন করে দুদক।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত গত ২ নভেম্বর এ মামলার রায়ে জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে আসামি বদিকে খালাস দেয়। তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন বদি। তার আইনজীবীরা আপিল আবেদন আদালতে উপস্থাপনের সময় জামিন ও অর্থদণ্ড মওকুফের আবেদন করেন।
শুনানির পর বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বদিকে ৬ মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন দেঢ। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতের দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়।
ওই জামিন স্থগিত চেয়েই বৃহস্পতিবার সপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছে দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সোবহান ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার রমনা থানায় সাংসদ বদীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ ২০১৫ সালের ৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বদির ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়। বলা হয়, তিনি দুদকের কাছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।