নিজস্ব সংবাদদাতা- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নারী উদ্যোক্তা ইউনিটের প্রধানদের নিয়ে আজ সম্মেলন করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ সবক’টি শাখা অফিসের নারী উদ্যোক্তা ইউনিটের কর্মকর্তারাও এ সম্মেলনে যোগ দেবেন। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনের কারণে বাতিল করা হয়েছে পূর্বনির্ধারিত ব্যাংকার্স সভা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান নারী উদ্যোক্তা ইউনিটের সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন। মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে আজ সকাল ১০টায় এ সম্মেলন শুরু হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম স্বপন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি থাকবেন ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আসাদ খান, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধূরী।
এদিকে নারী উদ্যোক্তা ইউনিট সম্মেলনের কারণে আজ অনুষ্ঠেয় ব্যাংকার্স সভাটি হচ্ছে না। সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে প্রতি তিন মাস অন্তর এ সভা করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ সভায় সভাপতিত্ব করে থাকেন। গতকাল এক সিদ্ধান্তে পূর্বনির্ধারিত এ সভা বাতিল করা হয়। সূত্র জানায়, আজকের ব্যাংকার্স সভায় বেশ ক’টি বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা দেয়ার কথা ছিল। বিশেষ ছাড়ে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণের সময় পেরিয়ে গেলেও সরকারি ও বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো অবাধে ঋণ পুনঃতফসিল করে চলছে। নতুন করে কয়েকটি ব্যাংকে কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে। এছাড়া শুধু ব্যাংকারদের জন্য উন্নত মানের একটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব বিষয়ে আজকের ব্যাংকার্স সভায় সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিল। ব্যাংকার্স সভা বাতিল করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কয়েকটি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একটি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রতি তিন মাস পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংকের সঙ্গে সভা করে থাকে। সময় দিয়েও সভাটি বাতিল করা হয়েছে। দুুঃখজনক বলা ছাড়া কিছুই করার নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা, তাই সবই মেনে নিতে হয়।’ জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ব্যাংকার্স সভার জন্য আজকের তারিখটি নির্ধারণ করা হয়।
সে অনুযায়ী সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীকে চিঠি দিয়ে সময়মতো সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকও সভার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এবারের সভায় নতুন করে ঋণ পুনঃতফসিল না করার নির্দেশনা দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। এছাড়া নতুন কয়েকটি ব্যাংকে যে অনিয়ম ধরা পড়েছে, তা নিয়ে এমডিদের সতর্ক করার কথা ছিল। পাশাপাশি শুধু ব্যাংকারদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনার ব্যাপারে এমডিদের মতামত নেয়ারও কথা ছিল। কিন্তু গতকাল দুপুরেই সভাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী গতকাল বিকালেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ৫৬টি ব্যাংকের এমডিকে সভা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। মতিঝিল এলাকায় যেসব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় রয়েছে, তাদের কাছে চিঠি পৌঁছে দেয়া হয়। এছাড়া গুলশান এলাকার ব্যাংকগুলোকে মেইল ও ফোনে খবরটি জানানো হয়।