অগ্রসর ডেস্ক : শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণসহ ১২ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ৩৪৩ কোটি ২২ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২৫ হাজার ৯০৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩৩ কোটি ৮০ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে ৪ হাজার ৪০৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। খবর : বার্তা সংস্থা বাসসের।
বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রকল্প সম্পর্ক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নের ফলে ২৭ লাখ গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতে যুক্ত করা হবে। ফলে শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় আসবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এখন থেকে যেখানেই রেল লাইন তৈরি হবে সেখানে ওভারপাস করতে হবে। এছাড়া ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা নেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২১২টি প্রকল্প পাস করা হয়।২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রকল্পের সংখ্যা ছিল ২৭৮টি। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ২ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৯৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৯০ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা।
একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পসমূহ হলো-শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ১৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭৭৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯৯১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। বিপিএটিসির প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫৯ কোটি টাকা। সাপোর্ট টু ঢাকা এলিফেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮৬৯ কোটি ৮ লাখ টাকা।
এছাড়া আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চারলেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরাহয়েছে ৩ হাজার ৫৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
বরিশাল-পটুয়াখালী মহসড়কে পায়রা নদীর উপর পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৭৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। জামালপুর শহরের গেইটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২১১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ (জেড-৮৭০১) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বন্দরসেরি বেগওয়ানে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স ও হাইকমিশনারের বাসভবন নিমার্ণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কক্সবাজার জেলাধীন ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ডারসমূহের পুনর্বাসন প্রকল্প,এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকা।