অগ্রসর ডেস্ক :রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা শপিংমলে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। শুক্রবার সকাল থেকেই শপিংমলটিতে ক্রেতা সাধারণের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ছোট বড় সবার চাহিদা মেটাতে দোকানিরাও পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, নানা সুর আর ডাক-হাকে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাচ্ছেন বিক্রেতারা। ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ফতুয়া আর প্যান্টের পাশাপাশি মেয়েদের রয়েছে মন মাতানো সব জামা-কাপড়। মেয়েরা সারারা, গাউন আর বাহুবলি-টুতে যেন মেতে উঠছেন। বিক্রেতারাও ওইসব ড্রেস বিক্রি করে মুনাফা নিচ্ছেন।
ফ্যাশন ক্রাফটের বিক্রয়কর্মী আলী আজগর বলেন, বসুন্ধরার দোকানগুলোতে ইন্ডিয়ান কাপড়ই বেশি বিক্রি হয়। ক্রেতারাও ইন্ডিয়ান কাপড়ই বেশি চায়। তাই ইন্ডিয়ান ফ্যাশনের ওপর নির্ভর করেই কালেকশন রাখা হয়। এবারে যেমন চলছে বাহুবলি টু আর সারারা। তবে বোম্বের স্পেশাল আইটেম পাঞ্চু চলছে ধুমচে।
নারীদের কাপড়ের দোকানগুলোর তুলনায় ছেলেদের দোকানগুলোতে ভিড় নেই বললেই চলে। নারীদের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কিনছেনও অনেকে। অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় পুরো ঢাকাবাসী যেন ছুটে এসেছেন বসুন্ধরায়।
শিশুদের পোশাক থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সীদের ড্রেস পাওয়া যাচ্ছে বসুন্ধরায়। কেউ পুরো পরিবারের জন্যই কিনতে এসেছেন। কোনো পরিবার এক- দেড় মাসের শিশুকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে।
মার্কেট করতে এসে কেউ একেবারেই ক্লান্ত হয়েছে। তারা খানিকটা বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
মার্কেট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক ক্রেতা সাধারণ এবারে কেনাকাটা করতে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই পুরো শপিংমলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিজস্ব নিরাপত্তার পাশাপাশি পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিটকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থেকে এসেছেন মুন্নী ও তার পরিবার। মুন্নী জানালেন, সবার কেনাকাটা শেষ করেছেন। সবারটাই বসুন্ধরাতে কেনা সম্ভব হয়েছে। বাকি দুয়েকটা কাপড় রাজধানী মার্কেট থেকে কিনবেন। তিনি শিশু সন্তানের জন্য জামা-কাপড়, স্বামীর জন্য শার্ট আর পাঞ্জাবি, নিজের জন্য সালোয়ার-কামিস আর শাড়ি এবং শাশুড়ির জন্য শাড়ি কিনেছেন। নিজের বাবা-মায়ের জন্যও ঈদের কেনাকাটা করেছেন মুন্নী।
নাবিলা নামের এক মেয়ে তার বন্ধু শামসকে নিয়ে বসুন্ধরায় ঈদ কেনাকাটা করতে এসেছেন। নাবিলা বলেন, বন্ধুর জন্য পাঞ্জাবি কিনেছি আর নিজের জন্য বাহুবলি টু ড্রেস কিনেছি। এ ছাড়া বন্ধু আরো একটি ড্রেস উপহার দিয়েছে।
ঈদে পোশাকের পাশাপাশি জুতা-সেন্ডেল কসমেটিকসহ অন্যান্য সামগ্রীও কিনতে বেশ তৎপর ক্রেতারা।