অগ্রসর ডেস্ক : সকালে ঘুম থেকে ওঠাটা অনেকের জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে। রাতে ভালো ঘুম হলেই একজন মানুষ সকালে হাসিমুখে ঘুম থেকে উঠতে পারেন। যদি আপনি সকালে ঘুম থেকে হাসি মুখে উঠতে পারেন তাহলে আপনার সারাটা দিন ভালো যাবে। সকালে সুখি অনুভব করার জন্য কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন আপনি। সে বিষয়েই আমাদের আজকের ফিচার।
১। রাতেই গুছিয়ে রাখুন :
আপনার সকালের সুখবোধের জন্য আপনার সামান্য কিছু পদক্ষেপই কাজে লাগতে পারে। কেউ কেউ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে পানি পান করেন। তাদের জন্য একবোতল পানি বিছানার পাশে রাখা উচিৎ। আবার কারো কারো সকালে ঘুম থেকে ওঠেই চা পান করার অভ্যাস থাকে তারা যদি রাতেই চা পান করার সামগ্রীগুলো গুছিয়ে রাখেন তাহলে আর সকালে ওঠে এগুলো গুছিয়ে চা তৈরি করার ঝামেলা থাকবে না। আপনি খুব সহজেই চা তৈরি করে ফেলতে পারবেন। পরদিন আপনি যে কাপড় পরে বাইরে যাবেন তা রাতেই ঠিক করে রাখুন। এছাড়া দুপুরের খাবারও প্রস্তুত করে রাখতে পারেন রাতেই।
পারসোনালিটি এন্ড সোশ্যাল সাইকোলজি বুলেটিন এ প্রকাশিত গবেষণায় জানা যায় যে, যে নারীরা তাদের ঘরকে নোংরা বা গুমোট হিসেবে বর্ণনা করেন তাদের বিষণ্ণতা, উদ্বিগ্নতা বা ক্লান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি ছিলো। ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে যদি আপনি দ্রুত আপনার কিছু কাজ গুছিয়ে রাখেন তাহলে সকালের শুরুটা ভালো হবে।
২। স্ট্রেচিং করুন :
বেশিরভাগ মানুষই তাদের শরীরকে জাগার সুযোগ না দিয়ে খুব দ্রুত ঘুম থেকে উঠে পড়েন। এর পরিবর্তে ঘুম ভাঙার পর কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন এবং আপনার পেশীগুলোকে সচল করার জন্য কিছু স্ট্রেচিং করুন। তারপর বিছানা থেকে নেমে আরো সহজ কিছু স্ট্রেচিং করুন। সায়েন্টিফিক আমেরিকান নামক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, সামান্য কিছু শারীরিক সক্রিয়তাই আপনাকে ভালো অনুভূতি দিতে পারে।
৩। বাথরুমে কিছুটা সময় থাকুন :
সকালে শাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে ঝটপট গোসল না সেরে একটু সময় নিন। শাওয়ার জেল বা বডি লোশন লাগিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন এবং তখন একটি গান শুনতে পারেন। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি এর সাইকোলজিস্ট আর. কীথ সাউয়ের এর মতে, সকালে গোসলের সময়ে উদ্ভাবনী চিন্তা এবং সৃজনশীলতা আপনাকে নাড়া দিতে পারে, আপনাকে সুখি ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে।
৪। প্রয়োজন না মনে করলেও খান :
সকালে সুস্বাদু খাবার তৈরি করুন ও খান যা আপনাকে সারাদিনের কাজের জন্য শক্তি দেবে। যদি আপনি সকালে কিছু খেতে পছন্দ না করেন তাহলে মেজাজের উন্নতি ঘটায় এমন উপাদান যুক্ত স্মুদি বা সবজির জুসের মত তরল খাবার খান। সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সের একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, আগে থেকেই পরিকল্পনা করে নিলে পুষ্টির ক্ষেত্রে ভালো সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।
৫। মজার কিছু পরিকল্পনা করুন :
যদি সব কিছুই ব্যর্থ হয় তাহলে দিনের অন্য সময়টাতে ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন। নৈশ ভোজে আপনার পছন্দের কোন খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা করুন বা বন্ধুর সাথে কফি পান করুন বা আপনার পছন্দের মানুষটির কাছে ম্যাসেজ পাঠান।