কলকাতা প্রতিনিধি : ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম বরকতিকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বরকতিকে রাজ্যসভায় পাঠানোর খবরে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
গত বুধবার বরকতি বলেছিলেন, ‘ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হলে, পাকিস্তানের হয়ে জেহাদ ঘোষণা করবে দেশের ৩০ কোটি মুসলিম’। অনেকেরই প্রশ্ন, যিনি দেশের অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন তাঁকে আইনসভায় পাঠানো কতটা যুক্তিযুক্তি?
তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন তেমনই। সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হলে তাঁর জায়গায় বরকতিকে রাজ্য সভায় পাঠাতে চলেছেন মমতা। তৃণমূলের সঙ্গে ইমামের ঘনিষ্ঠতা নতুন নয়। দলের একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায় তাঁকে। নিয়ম করে হাজির থাকেন ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে।
সূত্রের খবর, বরকতিকে সক্রিয় রাজনীতিতে আসার জন্য দীর্ঘদিনধরেই অনুরোধ করছিল তৃণমূলের একাংশ। কিন্তু এতদিন তাতে রাজি ছিলেন না ইমাম। কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অনুরোধে’ সম্ভবত সেই চটি পায়ে গলাতে চলেছেন তিনি।
তৃণমূলের অন্দরে খবর, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরাতে পারে বিজেপি। তাই পালটা সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে আরও সুগঠিত করতে চান মমতা। আর সেক্ষেত্রে তাঁর প্রথম পছন্দ বরকতি। এসব যুক্তির যদিও কোনও দিনই ধার ধারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে, সিমির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহমেদ হাসান ইমরানকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন তিনি। যাঁর হাত ধরে সারদার টাকা বাংলাদেশে জামাতের কাছে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি এরাজ্যে জামাতকে আমদানিতেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে।