কলকাতা প্রতিনিধি : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরী আসার জন্য তখনও কলকাতা ছাড়েননি। হঠাত্ই পুরী মন্দিরের গুটিকয়েক সেবায়েত দাবি করতে থাকেন তারা মমতাকে পুজো দিত দেবেন না। হইহই কাণ্ড শুরু হয়ে যায়। সতর্ক হয় প্রশাসন।
তবে এসবকে কখনওই খুব একটা তোয়াক্কা করেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যে ৫টা বেজে ৩৫ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী এসে পৌঁছান জগন্নাথ দেবের মন্দিরে। তার আগে থেকেই অবশ্য গোটা মন্দির চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়ে। চারিদিকে থিকথিক করছে পুলিশ। গাড়ি থেকে নেমে খালি পায়ে মন্দিরের দিকে হাঁটা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে প্রায় ৫০০ সেবায়েত। মন্দিরের সিংহ দ্বারে ঢোকার আগে ফুলও তুলে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। সমস্ত বিতর্ককে উড়িয়ে পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সঙ্গে ছিলেন ৫’শরও বেশি সেবায়েত। তবে এদিনও মুখ্যমন্ত্রীর আসা ও বেরনোর সময় বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা সামান্য বিক্ষোভ দেখিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মমতাই এখন তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।
মুখ্যমন্ত্রী যখন মন্দিরে ঢুকছেন, সেসময় দূর থেকে দুএকজন চিত্কার করতে থাকেন, গো ব্যাক, গো ব্যাক বলে। এরা কলেই যুব বিজেপির কর্মী। সেই চিত্কার জোরালো হওয়ার আগেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় আধঘণ্টা মন্দিরে কাটিয়ে বেরিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। কনভয়ে ওঠার সময় আবার দেখা যায় দুজন বিজেপি কর্মীকে কালো পতাকা হাতে। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে বিপুল সম্বর্ধনার মাঝে এসব কালো পতাকা, বিক্ষোভ সবটাই ঢেকে যায়। তবে মন্দিরে দর্শনার্থী থেকে শুরু করে অন্যান্যরাও কিন্তু রীতিমতোন বিরক্ত ছিল।