এই জোটের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আয়োজিত এই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ১৮টি দেশের সুলতান, প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী অংশ নিচ্ছেন।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো মঙ্গলবার সকালে জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে ‘লিডারস সামিটের’ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে সমবেত হন আইওআরএ শীর্ষ নেতারা। এ সময় প্রত্যেক নেতার হাতে তুলে দেয়া হয় তিফা নামের বিশেষ এক তবলা। তাতে তাল ঠুকে নেতারা একযোগে উদ্বোধন করেন এই শীর্ষ সম্মেলন।
লিডারস সামিটে যোগ দিতে ৩ দিনের সফরে সোমবার জাকার্তায় পৌঁছান শেখ হাসিনা। মধ্য জাকার্তার সাংরি-লা হোটেল থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সকালে সম্মেলন কেন্দ্রে পৌঁছালে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট তাকে স্বাগত জানান।
পরে জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতারা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ফটোসেশনে অংশ নেন। জোকো উইদোদোর উদ্বোধন ঘোষণার পর অনুষ্ঠানে ঢোল বাদ্যের সহযোগে ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
ভারত, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, কমোরস, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মরিশাস, মোজাম্বিক, ওমান, সেসলস, সিঙ্গাপুর, সোমালিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তানজানিয়া, সংযুক্ত আরবআমিরাত, ইয়েমেন ও দক্ষিণ আফ্রিকা আইওআরের সদস্য।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান ও মিসর এই জোটের ডায়লগ পার্টনার।
ওমানের সুলতান ও ইন্দোনিয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, ইয়েমেন, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, সোমালিয়া, মাদাগাস্কার ও মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ সম্মেলনে অংশ নেয়া প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন- অষ্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও মরিশাশের সরকারপ্রধান।
এ ছাড়া ভারত, সেসলস, কমোরসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী অংশ নিচ্ছেন লিডারস সামিটে।
উদ্বোধনের পর ‘শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরের জন্য সমুদ্র সহযোগিতা জোরদার’ শীর্ষক বিতর্কে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এ সম্মেলনে অংশ নেয়ার ফাঁকে ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টসহ কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে তার।