সম্মেলনে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র অথবা সরকার প্রধান প্রতিনিধিত্ব করবেন এবং ন্যাটো, ইইউ, গ্রিনপিচ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্মেলনে যোগ দেবে।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৬৩ সালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের যাত্রা শুরু হয়। পাঁচ দশক ধরে এই সম্মেলনে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও শৃংখলার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার প্রধান বিষয়গুলোর পাশাপাশি খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, উদ্বাস্তু এবং অভিবাসনের মতো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ এককভাবে রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবেলা করছে। কিন্তু এখন এটি ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে গোটা পৃথিবী এখন বাংলাদেশের পাশে… এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বুঝতে পেরেছে যে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান করতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বিভিন্ন অধিবেশনে এবং পাশাপাশি জলবায়ুসহ বিশেষ ইভেন্টে যোগ দেবেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ১৮ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেবেন। এ সময় তারা বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, ইউরোপে বর্তমান উদ্বাস্তু ও অভিবাসন সংকটসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় বৈঠক দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সম্পর্ক আরো জোরদার করবে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।