আজ দুই পুঁজিবাজারেই লেনদেন শুরু হয়েছিল ঊর্ধ্বমুখী সূচক নিয়ে। সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর পর এক দফা কিছুটা কমলেও সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চাঙ্গাভাব অব্যাহত ছিল।
কিন্তু নতুন মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজার নিয়ে সতর্ক করার পর দুই বাজারেই সূচক নামতে থাকে। বেলা আড়াইটায় লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে পতনের প্রবণতা। ডিএসইতে এক হাজার ১৩৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা বৃহস্পতিবারের চেয়ে ১৩২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কম। সেদিন এ বাজারে এক হাজার ২৬৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
ডিএসইতে আজ ৩২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ২৭৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে পাঁচটির দর।
এ বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দিন শেষে আগের দিনের চেয়ে ১১৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে হয়েছে এক হাজার ২৭৪ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে দুই হাজার ৩ পয়েন্টে।
অন্যদিকে সিএসইতে ৬৮ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এদিন। বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছিল ৭২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১৯ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৯৭৯ পয়েন্টে দিন শেষ করেছে আজ। লেনদেন হয়েছে ২৬৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ২১৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে চারটির দর।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসে অনেকে সর্বস্ব হারিয়েছিলেন। এরপর গত ছয় বছর ধরে বাজার পড়তির দিকে হলেও গতবছরের শেষ দিক থেকে তেজিভাব দেখা যায়। দীর্ঘদিন পর ডিএসই সূচক সাড়ে ৫ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। পরিস্থিতি দেখে বাজার বিশ্লেষকদের অনেকেই অতীতের অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।