অনলাইন ডেস্ক- সুলতানা আহমেদ থেকে সুলতানা কামাল হওয়ার একমাসও হয়নি। শ্বশুর রাষ্ট্র প্রধান, তাই মধুচন্দ্রিমার ক্ষণগুলো কেটেছে নানা আনুষ্ঠানিকতায়। মনখুলে বিয়ের গল্পও করা হয়নি প্রিয় বান্ধবীদের সাথে। তার আগেই নিষ্ঠুর খুনিরা কেড়ে নিলো বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকুর প্রাণ। আর বাংলাদেশ হারালো প্রতিভাধর এক অ্যাথলেটকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী দবির উদ্দিনের ছোট্ট মেয়েটি। আদরের নাম খুকু। মুসলিম গার্লস স্কুলে পড়ার সময় থেকেই খেলাধুলায় ব্যাপক পারদর্শী সে। বড় বোন খালেদা আর মেঝ বোন মমতাজের পথ ধরে অ্যাথলেটিকসে পথচলা। ১৯৫১ তে ঢাকার শাহজাহানপুরে জন্ম সুলতানা কামালের। পাঁচ ভাই আর তিনবোনের সবার ছোট। স্কুলেই থাকতেই যোগ দেন মোহামেডান ক্লাবে। ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান অলিম্পকে লং জাম্পে দ্বিতীয় স্থানের মাধ্যমে প্রতিভার ঝলক শুরু খুকুর। যত দিন গেছে নিজেকেই নিজে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। অসামান্য প্রতিভায় একে একে ১৯৬৮ সালে ঢাকার মাঠে পাকিস্তান অলিম্পিকে লং জাম্পে ১৬ ফুট অতিক্রম করে রেকর্ডসহ স্বর্ণপদক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯-৭০ সালে প্রতিনিধিত্ব করে জাতীয় ক্রীড়ায় রেকর্ড স্বর্ণপদক। ১৯৭০ সাল নিখিল পাকিস্তান মহিলা অ্যাথলেটিক্সে রেকর্ডসহ স্বর্ণপদক। ১৯৭৩ এ লং জাম্পে স্বর্ণ এবং ১৯৭৪ এ লংজাম্প ছাড়াও ১০০ মিটার হাডর্লসে রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক অর্জন করেন সুলতানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের মধ্যে ট্রাকে প্রতিদ্বন্দী হলেও বাস্তবে সুলতানা কামালের সাথে খুবই বন্ধুত্ব ছিলো একসময়ের ঢাকার মাঠের সাড়া জাগানো দুই অ্যাথলেট হামিদা বেগম ও রওশন আরার। বিয়ের কিছুদিন আগেও হাডর্লসে স্বর্ন জেতা সুলতানার কথা মনে করে চোখ ধরে আসে দু সতীর্থের।