আজ বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুরের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি স্থাপনা নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উচ্চশিক্ষায় ছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে। এখন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা সমপরিমাণ। তাই ছাত্রীদের জন্যও নতুন হল করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, একটি দেশের উন্নয়নে গবেষণার প্রয়োজন অনেক। শিক্ষার মান উন্নয়নে গবেষণা প্রয়োজন। তাই আমাদের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা শেষে গবেষণায় নিয়োজিত হতে হবে।
শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। যারা উচ্চশিক্ষা নিতে চায় তাদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা বৃত্তি চালু করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে এ দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে আমরা পদক্ষেপ নিই। শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ায় আমাদের লক্ষ্য ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এ স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। তার বিরুদ্ধে একের পর মামলা দেয়া হয়েছে। তার পরও তিনি জনগণের কথা বলেছেন। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন।
তিনি বলেন, আমরা বিজয়ী জাতি। আর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা দেশের মানুষের কথা ভাবেনি। নিজেদের ভাগ্য বদলের কথা ভেবেছে। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে এদেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে পদক্ষেপ নিই। শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য ছিল। এলাকা ধরে ধরে নিরক্ষরতা মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম।
রংপুর অবহেলিত এলাকা ছিলো সব সময় এবং এখানে মঙ্গা-দুর্ভিক্ষ সব সময় লেগেই থাকতো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যখনই ক্ষমতায় এসেছি, লক্ষ্য ছিলো উন্নয়ন করা। আমরাই রংপুরকে বিভাগ করি। মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা ছিল পায়রা বন্দরে। কিন্তু সেখানে শিক্ষার্থী পাওয়া কঠিন, তাই রংপুরে করার সিদ্ধান্ত নিই। ছাত্রী হলের জন্য একনেকে ৬০০ আসনের প্রস্তাব এলে আমি ১ হাজার করে দিই। জানতাম ছাত্রী সংখ্যা বাড়বে। তাই গবেষণায় জোর দিয়েছি। এ ইনস্টিটিউট মানসম্মত শিক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি। খাদ্য ঘাটতি পূরণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি। এখন আল্লাহর রহমতে মঙ্গা নাই। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছি। দুর্গম এলাকায় দেখেছি হাড্ডিসার মানুষ, এখন আর দেখা যায় না। বিভিন্ন ভাতা দিচ্ছি, কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি।
শিক্ষায় নতুন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তান যারা উচ্চশিক্ষা নিতে চায় তাদের স্কলাশিপের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, যদি ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে চাই তাহলে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দরকার। আমাদের সন্তানরা লেখাপড়া শিখবে, সমৃদ্ধ দেশ গড়বে।
বেরোবির প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা গেছে, গবেষণার জন্য ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও মেয়েদের জন্য অত্যাধুনিক শেখ হাসিনা হলের বাজেট ২০১৫ সালের একনেকে পাস করা হয়েছিল। রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জন্য ৫১ কোটি ২৩ লাখ ও মেয়েদের হলের জন্য ২৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এ স্থাপনা দুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।