আবেদনে বলা হয়, প্রথম দফায় আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে একেকজন একক রকম কথা বলছে। অত্যন্ত কৌশলে তারা তথ্য গোপন করছে। ফলে এ ঘটনার পেছনে নিগুঢ় রহস্য আছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে। প্রকৃত বিষয় উদঘাটন করতে তাদের ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করা হোক। এদিকে, গ্রেপ্তার এড়িয়ে একই দিন আদালতে আত্মসমর্পন করেন মামলার অন্য দুই আসামি বিমানের প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান। গত ২৮ ডিসেম্বর তাদের সাত দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তারা বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।
জানা গেছে, ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ফের দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজমের পরিদর্শক মাহবুব আলম। এরপর শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ওয়ায়েজকুরুনী খান চৌধুরী প্রত্যেককে ৮ দিন করে রিমান্ড প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর তাদের প্রত্যেককে সাতদিন করে রিমান্ড প্রদান করেছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী ।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে।
ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গত ১৮ ডিসেম্বর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। এই ঘটনায় গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ বিমানের ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর বরখাস্ত হন বিমানের তিন প্রকৌশলীও। এরপর ২০ ডিসেম্বর ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাটেরিয়েল ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এসএ সিদ্দিক ও প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুত্ফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।