জানা যায়,বান্দরবান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ঘেঁষে করা প্যান্ডেলে গত বুধবার সারারাত চলে অশ্লীল নৃত্য। তাছাড়াও মেলাকে ঘিরে বসেছে অসংখ্য চোলাই মদের দোকান ও বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ জুয়ার আসর। এতে দুর্গম পাহাড় থেকে মেলা দেখতে আসা সহজ-সরল প্রজাসাধারণ বিভিন্ন জুয়ার প্রতারণায় শিকার হয়ে হারাচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।
স্কুল-কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের বিপথগামী হবার আশঙ্কায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এই অশ্লীল নৃত্য বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানিয়েছেন রুমা উপজেলার বাসিন্দা উবাথোয়াই মারমা। থানছি উপজেলা থেকে মেলা দেখতে আসা ক্রানিং মারমা বলেন, বিনোদন প্রিয় আমরা, তবে তা অশ্লীল নৃত্য হতে পারে না। মেলায় এই অশ্লীল নৃত্য রাজপূণ্যাহ মেলার ঐতিহ্য নয়,এটি সভ্য সমাজের অসামাজিক কান্ডকারখানায় পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
পুলিশসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা রাতভর দায়িত্ব পালন করার সময় প্রকাশ্যেই প্যান্ডেলের ভেতর এহেন অশলীল নৃত্য পরিবেশিত হলেও নির্বিকার রয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার এবং গত বুধবার রাতেই জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে স্থানীয়রা এহেন অশলীল নৃত্য বন্ধের দাবি জানানো সত্বেও রহস্যজনক ভাবে তা বন্ধ করা হয়নি। রুমা উপজেলা থেকে আসা রেংপুং ¤্রাে জানান,বুধবার রাতে তিনকার্ডের জুয়ার প্রতারণায় তিনি তিন হাজার টাকা হারিয়েছেন। বাড়িতে ফিরে যাবার অর্থ নেই তার কাছে।
বুধবার রাতে বান্দরবানে অবস্থান করছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ্দুজামান খান কামাল। ওই সময়ে রাজপূণ্যাহ মেলায় সারারাত অশ্লীল নৃত্য পরিবশেন করায় ভাবিয়ে তুলেছে সাধারণ মানুষকে। পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই অসামাজিক কান্ড চালানো হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।
মেলা ইজারা গ্রহীতা মোহাম্মদ আলী (চিকনআলী) মুঠোফোনে বলেন,বুধবার রাতে অশ্লীল নৃত্য হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে হবে কিনা জানি না। অনুমতি পেলে চলবে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিক উল্লাহ জানান, অভিযোগ না পাওয়া অশ্লীল নৃত্য পরিবেনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক বলেন, রাজপূণ্যাহ মেলায় কোন অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করতে দেয়া হবে, হলে তা বন্ধ করে দেয়া হবে।