অগ্রসর রিপোর্ট : ইয়াহু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৩ সালে এক হ্যাকিংয়ে ১০০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারে।
ইন্টারনেট জগতের বৃহৎ এ প্রতিষ্ঠান সেপ্টেম্বর মাসে জানিয়েছিল, ২০১৪ সালে হ্যাকিংয়ের শিকার হয় ইয়াহুর প্রায় ৫০ কোটি ই-মেইল। তবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে হ্যাক হওয়া ই-মেইলগুলো আলাদা আলাদা।
ইয়াহু জানিয়েছে, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফোন নম্বর, পাসওয়ার্ড ও ইমেইল ঠিকানা চুরি হয়েছে। তবে ব্যাংক ও লেনদেনর তথ্য চুরি হয়নি।
শিগগিরই ইয়াহুর মালিকানায় আসছে ভেরিজোন কোম্পানি। এই মুহূর্তে এত বড় হ্যাকিংয়ের ঘটনা তাদের জন্য মাথা ব্যথার কারণ। হ্যাকার খুঁজে বের করতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে ইয়াহু।
সর্বশেষ এই প্রকাশের ঘটনায় ভেরিজোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা যে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে প্রভাবটা যাচাই করে দেখব।
রয়টার্স-কে ইয়াহুর এক মুখপাত্র জানান, এক সময় ইন্টারনেট সেবা ব্যবসায় আধিপত্য বজায় রাখা প্রতিষ্ঠানটি ডেটা লঙ্ঘন নিয়ে তদন্ত চলাকালে ভেরাইজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আর এই ঘটনা ক্রয়চুক্তিতে প্রভাব ফেলবে না বলে বিশ্বাস তাদের।
ইয়াহুর পক্ষ থেকে সব গ্রাহকের পাসওয়ার্ড ‘রিসেট’ করতে বলা হয়েছে। বুধবার প্রতিষ্ঠানটি আরো জানায়, আগের বার এই আক্রমণের পেছনে থাকা হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকার কোড অ্যাকসেস করে নিয়েছে। এর মাধ্যমে হ্যাকাররা কীভাবে ‘কুকি’ বানিয়ে পাসওয়ার্ড ছাড়াই একটি অ্যাকসেস নিয়ে নিতে পারে তা জেনে যেতে পারে।
যে সিস্টেম এই সাইবার হামলার শিকার হয়েছে সেখানে গ্রাহকদের লেনদেন কার্ড ডেটা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তথ্য ‘রাখা হয়নি বলে বিশ্বাস’ প্রতিষ্ঠানটির। আইন প্রণয়নকারী সংস্থা থেকে দেওয়া ডেটা পাওয়ার পর তা যাচাইয়ের সময় এই লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশ পায় বলে জানিয়েছে তারা।
সর্বশেষ লেনদেনের খবর অনুযায়ী, ইয়াহুর শেয়ার মূল্য ২.৪ শতাংশ কমে শেয়ার প্রতি ৩৯.৯১ ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে।