তবে এর আগে এভাবেই এক পার্টিতে অর্জুন রামপালকে বাথরুমে পালাতে বাধ্য করেছিলেন ঊর্বশী। ওই পার্টিতে দেখা মাত্রই ঊর্বশী এগিয়ে যান অর্জুনের দিকে। তার সঙ্গে একটা সেলফি তোলার অনুরোধ জানান। অর্জুন রাজি হয়ে যান। একটা সেলফি তোলেনও ঊর্বশীর সঙ্গে। তারপর থেকে অর্জুন দেখলেন, তিনি যেখানেই যান, পিছন পিছন লাস্য আর হাস্য নিয়ে হাজির হচ্ছেন ঊর্বশীও! কিছুতেই তিনি অর্জুনের পিছু ছাড়ছেন না!
প্রাথমিকভাবে অর্জুন ভেবেছিলেন, ঊর্বশী বোধহয় আরো খানকতক ছবি তুলতে চান তার সঙ্গে। ফলে, কথা বলেন ঊর্বশীর সঙ্গে এবং জানতে চান- তিনি কি আরো সেলফি তুলতে চাইছেন? বলাই বাহুল্য, ঊর্বশীর পক্ষে এ ছিল মেঘ না চাইতেই জলের মতো ব্যাপার! অতঃপর, ক্লিক ক্লিক ক্লিক- আরো বেশ কয়েকটা সেলফি তোলা হয় আর কী! নিশ্চিন্ত হন অর্জুনও- যাক, আর তাকে বিরক্ত করবেন না ঊর্বশী! কিন্তু তার ধারণা অচিরেই ভুল প্রতিপন্ন হয়।
অর্জুন দেখেন, ঊর্বশী তার পিছু ছাড়ছেনই না। এক সময় যখন অর্জুন পুরুষদের টয়লেটের দিকে এগোন, দেখেন সেখানেও তার পিছন পিছন হেঁটে আসছেন ঊর্বশী। মুখে তার এক অব্যক্ত হাসি! কী চাইছেন তিনি- তা স্পষ্ট নয়! তবে তার চাহিদা যে বিপজ্জনক, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহই ছিল না অর্জুনের। তাই তিনি তাড়াতাড়ি টয়লেটে ঢুকে ভিতর থেকে শক্ত করে বন্ধ করে দেন দরজাটা। বসে থাকেন কাজ মিটিয়ে কিছুক্ষণ ঘাপটি মেরে। প্রায় মিনিট দশেক এভাবে পেরিয়ে যাওয়ার পরে দরজাটা আলতো করে ফাঁক দেখেন নায়ক! চোখে পড়ে- ধারেকাছে কোথাওই ঊর্বশী নেই! আর দেরি করেননি অর্জন, টয়লেট থেকেই সোজা দৌড় লাগান বাড়ির দিকে! ওই পার্টিতে থাকা আর নিরাপদ বোধ করেননি বলে! বলিউড এই নিয়ে ইদানীং ভালোই হাসাহাসি করছে!