এ সময় নির্বাচনের জন্য ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নৌকা, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে ধানের শীষ, মাহাবুবুর রহমান ইসমাঈলকে কোদাল, মাসুম বিল্লাহকে হাতপাখা ও মুফতি এজাহারুল ইসলামকে মিনার প্রতীক দেয়া হয়।
সোমবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাইকে সঙ্গে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডে স্থাপিত রিটার্নিং অফিসারের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে নৌকা প্রতীক গ্রহণ করেছেন আইভী।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের দিন ধার্য ছিল। প্রতীক গ্রহণের পর আইভী সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এ সময় তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের আপামর জনতার হৃদয়ের স্পন্দন বুঝেই প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা উপহার দিয়েছেন। আমি নারায়ণঞ্জবাসীর প্রতি আস্থা রাখতে চাই।
প্রতীক বরাদ্দের পর সেলিনা হায়াৎ আইভী তার বাবা প্রয়াত মেয়র আলী আহমেদ চুনকার কবরের কাছে যান। সেখানে তিনি কিছু সময় অবস্থা করেন। বিকেলে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণার মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করবেন।
প্রতীক পাওয়ার পর রিটার্নিং কার্যালয়ের কাছে সাংবাদিকদের বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ধানের শীষের প্রতি গণজোয়ার তৈরি হচ্ছে। ধানের শীষ জয়লাভ করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি জিয়ার আদর্শে গড়া দল। এখন এই দলের নেতৃত্বে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি তাঁকে (সাখাওয়াত) এই প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে বলেছেন। এটি শুধু তার নয়, এটি দলের নির্বাচন। ধানের শীষের নির্বাচন।
বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান আরো বলেন, তিনি অন্যায়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। আলোচিত ৭ খুন মামলায় তিনি লড়েছেন। নারায়ণগঞ্জের মানুষ তাকে চেনে, জানে।
নির্বাচনে মেয়র পদ ছাড়াও ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৮ জন।
ভোটগ্রহণ করা হবে ১৬৩টি কেন্দ্রে ও ১২১৭টি ভোটকক্ষে। নির্বাচনে মোট ১৬৩ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১২১৭ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২ হাজার ৪৩৪ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন।