প্রসঙ্গত, সজীব ওয়াজেদ জয় বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সম্মেলনে তিনি কাউন্সিলর হিসেবে যোগদান করেন। সম্মেলনে তাকে দলের নেতৃত্বে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (তৃণমূল নেতারা) জয়কে দলীয় পদে থাকার বিষয়ে বলেছিলেন। কিন্তু তার কথা, তিনি দেশের বাইরে থাকেন। দেশে থাকলে হয়তো পদে থাকতে পারতেন।
তিনি বলেন, ‘‘সম্মেলনের প্রথম দিন দুপুরের পর জয়কে মঞ্চে তোলা হয়েছিল। আমরাই তাকে বক্তৃতা করতে বলেছি। জয় রাজি হননি। আমরা তাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকতে বলেছিলাম, সে বলেছে ‘আমি কিভাবে বিদেশে থেকে কমিটিতে থাকবো।’ জয় আমাদের বোঝাতে চেয়েছেন ‘আমাকে আপনারা তারেক জিয়ার মতো বানাতে চাইবেন না।’ নেতৃত্বে আসার ব্যাপারে তার আগ্রহ, সম্মতির বিষয় আছে নেতৃত্ব চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’’
বৈঠকে আগামী ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল সাতটায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতীকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল আটটায় বনানীতে জাতীয় তিন নেতার কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন, একই সঙ্গে রাজশাহীতে আরেক জাতীয় নেতার সমাধিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, বিকালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা।