অগ্রসর রিপোর্ট : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা সংক্রান্ত আইএসের নামে নতুন ভিডিও বার্তা প্রকাশ ও প্রচার বাংলাদেশের বিরুদ্বে একটি গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত।
তিনি রোববার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নবনির্মিত ৬-তলাবিশিষ্ট ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গুলশানের হলি আটিজানে হামলা সম্পর্কিত তথ্য ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের হুমকী দিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তা ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওবার্তা দানকারীরা নিজেদেরকে আইএস বলে দাবী করেছেন বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: মোজাম্মেল হক খান, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অফিসের মহাপরিচালক ( ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড’র মহাপরিচালক ( ডিজি) রিয়্যাল এ্যাডমিরাল আরঙ্গজেব চৌধুরী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নাসিমা ফেরদৌসী বক্তব্য রাখেন ।
বাংলাদেশে আইএসের কোন অস্তিত্ব নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দৃঢ়তার সথে বলেন, আইএসের কোন সাংগঠনিক ভিত্তি, কাঠামো কিংবা কোন নেতা বাংলাদেশে নেই।
তিনি বলেন, একটি কুচক্রি মহল তাদের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুলতথ্য ও ভিডিও আপলোড করছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এদেশের মানুষ আইএস কিংবা জঙ্গীবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়না, পছন্দ করেনা, বিশ্বাসও করেনা। তিনি বলেন, জঙ্গীবাদ ইসলামের সুনাম নষ্ট করছে। ইসলামের ওপর কালিমা লেপন করছে। জঙ্গীবাদকে রূখতে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জঙ্গীদের প্রতিরোধ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন করেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহযোগিতা করছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পাসপোর্ট অধিদপ্তর ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচেছ। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে খুব শিগগিরই ই-পাসপোর্ট চালু করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা শিগগিরই দেশে ই-পাসপোর্ট তৈরির কাজ শুরু করব। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় ৬৭টি পাসপোর্ট অফিস রয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি নিজস্ব ভবনে রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় নতুন করে সচিবালয়ে, ঢাকা সেনানিবাসে, রাজধানীর পূর্বে ও পশ্চিমে আরো ৪টি পাসপোর্ট অফিস প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ১৬ কোটি জনগনের মধ্যে দেড় কোটি এম.আর.পি ও প্রায় সাড়ে ৪লাখ এম.আর.ভি পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে। পাসপোর্টের মাধ্যমে ৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।