অগ্রসর রিপোর্টঃ সৌদি আরবে হঠাৎ বেকার হয়ে পড়া আঠারোশো বাংলাদেশী শ্রমিকের বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকদের একটি বড় অংশই কাজ করে সৌদি আরবে।
সৌদি অর্থনীতিতে মন্দার জেরে হাজার হাজার শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাকিস্তান, ভারতীয়, ফিলিপিন্সসহ বাংলাদেশী শ্রমিকও রয়েছেন। অনেকে মাসের পর মাসে বেতন পাচ্ছেন না।
শ্রমিকদের জন্য নির্মিত শিবিরগুলোতে তাদের দিন কাটছে প্রায় অভুক্ত অবস্থায়।
সৌদিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ জানিয়েছেন কর্মহীন এসব শ্রমিকদের বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই শিবিরগুলো ঘুরে শ্রমিকদের খাওয়া-পড়ার ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে বলে জানান মি: মসীহ।
সৌদি আরবের জেদ্দা, দাম্মাম ও রিয়াদ এই তিনটি শহরে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশী প্রায় আঠারোশো শ্রমিক। এই শ্রমিকদের অনেকে সেখানে প্রায় পনের থেকে বিশ বছর ধরে কাজ করছিলেন।
গোলাম মসীহ জানাচ্ছেন যে মূলত দুটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির অব্যবস্থাপনার কারণে শ্রমিকেরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না এবং বেকার হয়ে পড়েছেন।
বেকার হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের কর্মসংস্থান যেন দ্রুত হয় সে বিষয়ে চেষ্টা চলছে বলে জানান মি: মসীহ।
আর যদি কোনও বেকার শ্রমিক দেশে ফিরে আসতে চায় তাহলে তার সব ব্যবস্থা বাংলাদেশ সরকার করবে -এমনটাই জানিয়েছেন সৌদিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
দাম্মামে আশ্রয় শিবিরে বাংলাদেশের অন্তত ১৪৪ জন শ্রমিক রয়েছেন যারা হঠাৎ বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদেরই একজন মিজানুর রহমানসহ কজন বাংলাদেশী শ্রমিক এর আগে অভিযোগ করেছিলেন যে অভুক্ত অবস্থায় তারা দিন কাটাচ্ছেন এবং দূতাবাস থেকে কেউ আসেনি তাদের খোঁজখবর নিতে।
তবে গত রাতে শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান যে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তাদের খাবার দাবারের ব্যবস্থাসহ আর্থিকভাবেও সহায়তা করছেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
এখানে উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগেই জানা যায় যে সৌদিতে কর্মহীন এশীয় শ্রমিকদের অনেকেরই দিন কাটছে একবেলা খেয়ে।
শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগের বিভিন্ন খবর প্রকাশের পর সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায় যে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শ্রমিক, যারা সে দেশে বেকার রয়েছেন, তারা যাতে অন্য চাকরিতে ঢুকতে পারেন বা দেশ ত্যাগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।
সৌদিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, শ্রমিকদের নিয়ে বর্তমান এই সংকটের যেন দ্রুত সমাধান হয় সে বিষয়ে সৌদি সরকারও এখন উদ্যোগী হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।