বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ নিজ-নিজ অবস্থানে থেকে যেভাবে আজ ঐক্যবদ্ধ, তাতে বিদেশীরা খুশি।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে তৈরী পোশাক ক্রেতারা প্রশংসা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘রাজধানীর গুলশান ও কল্যাণপুরে এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষতার সাথে ও সফলভাবে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করায় তৈরী পোশাক ক্রেতারাও সন্তুষ্ট।’
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিসেস লিয়োনি কোয়েলিনেয়ারের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশীদের নিরাপত্তায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন,নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের বিম্বস্ত বন্ধু এবং বড় ব্যবসাসায়ীক অংশীদার। বাংলাদেশ এখন প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করছে নেদারল্যান্ডে, দিনদিন এ রপ্তানি বাড়ছে।
নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতকে আরো আধুনিক ও টেকসই করে গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ জন্য নেদারল্যান্ড আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকায় ‘সাসটেইনেবল সোর্সিং ইন দি গার্মেন্টস সেক্টর’ শিরোনামে একটি সেমিনারের আয়োজন করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিছু রাজনৈতিক দলের নেতার মন্তব্য দুঃখজনক। তারা একদিকে জঙ্গীদের সমর্থন করছেন,অপর দিকে জাতীয় ঐক্যের কথা বলছেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান কঠোর। দেশের মানুষ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এখন অনেক বেশি সচেতন। বাবা-মা‘রা এখন সন্তানদের বিষয়ে বেশি সচেতন। সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করা হচ্ছে। দেশের সর্বস্তরের মানুষ আজ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন,পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে যাতে আর কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ না ঘটে, সেজন্য সরকার দেশবাসীকে সাথে নিয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকার বাণিজ্য ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিয়োজিত বিদেশীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিদেশীদের বাংলাদেশে অবস্থান এবং স্বাভাবিক কাজে কোন সমস্যা নেই। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।
এ সময়, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশীদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা প্রশংসনীয়। নেদারল্যান্ড বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। বাংলাদেশে নেদারল্যান্ড বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। এ জন্য আগামী সেপ্টেম্বর ঢাকায় “সাসটেইনেবল সোর্সিং ইন দি গার্মেন্টস সেক্টর” শিরোনামে একটি সেমিনারের আয়োজন করছে নেদারল্যান্ড।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের তৈি পোশাক শিল্পকে আধুনিক ও টেকসই করে গড়ে তুলতে নেদারল্যান্ড সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। অল্প সময়ের মধ্যে নেদারল্যান্ডের ফরেন ট্রেড এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন মন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ব্রাসেলস-এ নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাদাত হোসেন এবং বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) জহির উদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।