স্টাফ রিপোর্টার: প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র ফিজিতে ঘূর্ণিঝড় উইন্সটনের তান্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার দেশটিতে ত্রাণ সরবরাহের কাজ শুরু করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিমান খাবার, পানি ও ঔষধ নিয়ে ইতোমধ্যে ফিজিতে পৌঁছেছে।
ফিজি কর্তৃপক্ষ বলছে, যে পরিমাণ ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ কিছু সময় লাগবে। প্রত্যন্ত এলাকায় এখনও ধ্বংসযজ্ঞ নিরূপণের চেষ্টা চলছে।
সরকারের মুখপাত্র ইভান পেরিন বলেন, গ্রামাঞ্চলের খবর নেয়ার চেষ্টা চলছে। ওইসব প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে।
পেরিন ফোনে রেডিও নিউজিল্যান্ডকে জানিয়েছেন, সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তবে আশা করছি সংখ্যাটা হবে খুব কম।
শনিবার রাতে ফিজিতে এ যাবত কালের সবচেয়ে তীব্র ঘুর্ণিঝড় উইন্সটন আঘাত হানে। ঘন্টায় এর গতিবেগ ছিল ৩২৫ কিলোমিটার। লন্ডভন্ড করে প্রায় পুরো ফিজি।
পেরিন বলেন, কিছু কিছু গ্রাম এতই লন্ডভন্ড হয়েছে যে কোন ভবনই আর দাঁড়িয়ে নেই। এসব গ্রামের লোকজন তাদের সবকিছুই হারিয়েছে। সুতরাং তাদের দাঁড়াতে সময় লাগবে।
এদিকে দেশটির আট হাজার লোক এখনও আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। রাস্তাঘাট পরিস্কারের কাজও শুরু হয়েছে। সোমবার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নাদি পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ ত্রাণ প্রধান স্টিফেন ওব্রিয়েন এক বিবৃতিতে বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার ফিজিবাসী। তাদের জীবন জীবিকা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে আমাদের অবশ্যই সবকিছু করতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, পরিস্থিতি নিরূপনে ও কিভাবে সাড়া দেয়া যায় তা জানতে তারা ফিজিতে একটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে।
এদিকে রেডক্রস, অক্সফাম, কেয়ার অস্ট্রেলিয়া ও সেভ দ্য চিলড্রেনের মতো ত্রাণ সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে ফিজিতে কাজ শুরু করেছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।