স্টাফ রিপোর্টার: মালির উত্তরাঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিতে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হামলায় শুক্রবার শান্তিরক্ষী বাহিনীর ৬ সদস্য নিহত ও প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে।
গোলযোগপূর্ণ এলাকাটিতে জিহাদিদের অপর এক আকস্মিক হামলায় মালির ৩ সৈন্য নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মিশনের গিনি সূত্র ও কোনাক্রির সেনা সূত্র জানিয়েছে, মালির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কিদালে শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি শিবিরে ভোরে জঙ্গিদের হামলায় গিনির ৬ সৈন্য নিহত হয়েছে। এরা জাতিসংঘের এমআইএনইউএসএমএ’র সদস্য ছিল।
মালির ইসলামপন্থী সংগঠন আনসার দ্বীন এই ঘটনার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
মৌরিতানিয়ার সংবাদ সংস্থাকে পাঠানো জঙ্গি সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘মৌরিতানিয়ান জিহাদি’ এই হামলা চালিয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এই হামলার মাধ্যমে আমাদের দেশে হামলাকারী ক্রুসেডার ও তাদের দোসরদের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে।’
সর্বশেষ এই হামলা মালির উত্তরাঞ্চলে জঙ্গি হামলার ঝুঁকির বিষয়টিই তুলে ধরল।
ওই অঞ্চলে জাতিসংঘ ও মালির সৈন্যরা জিহাদিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। তাদেরকে জিহাদিদের কঠিন প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। জিহাদিরা ২০১২ সাল থেকে ওই অঞ্চলের একটি বড় এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একে এমআইএনইউএসএমএ ঘাঁটির ওপর চালানো ‘বড় ধরনের’ হামলা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে এ ধরনের হামলাকে যুদ্ধপরাধ হিসেবে হুঁশিয়ার করে মালির সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মালিতে অবস্থিত জাতিসংঘ মিশনের গিনি সূত্র জানিয়েছে, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা গাড়ি চালিয়ে ঘাঁটির মধ্যে দুটি রকেট লঞ্চারের মধ্যে ঢুকে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
এমআইএনইউএসএমএ’র নতুন প্রধান মাহামাত সালেহ্ আন্নাদিফ যখন মালির উত্তরাঞ্চলে সফরে রয়েছেন ঠিক সেই সময়ে এই হামলা চালানো হয়।
আন্নাদিফ এই হামলাকে ‘জঘন্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
কিদালে একটি শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার এক সপ্তাহ পর আন্নাদিফ শহরটিতে প্রবেশ করেন।
এদিকে তিম্বাকতু নগরীর কাছে পৃথক এক হামলার ঘটনায় মালির ৩ সৈন্য নিহত ও অপর দুইজন আহত হয়েছে।
মালির এক সামরিক সূত্র একথা জানিয়েছে।
মালির এক সেনা কর্মকর্তা বলেন ‘জিহাদিরা তিম্বাকতু ও গুউন্ডামের মধ্যবর্তী এলাকায় সৈন্যদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এতে আমাদের তিন সৈন্য নিহত হন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই হামলার ঘটনায় আরো দুই সৈন্য আহত হয়েছেন। তবে তারা আশাঙ্কামুক্ত আছেন।’প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই হামলার নিন্দা জানিয়ে একে ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মালির প্রেসিডেন্ট ইবরাহীম বোউবাকার কিতা বলেন, মালির উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদারের প্রয়োজন রয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।