স্টাফ রিপোর্টার: তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দিয়ারবাকির প্রদেশের জেলা পুলিশের সদরদপ্তরে এক গাড়িবোমা হামলায় একটি শিশুসহ অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে। হামলায় আরো অন্তত ৩৯ জন আহত হয়েছেন। আরও হতাহতের আশংকা করা হচ্ছে।
ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এ হামলার জন্য তুরস্কের কর্মকর্তারা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) দায়ী করছে, যাদের তৎপরতা মূলত তুরস্কের কুর্দি প্রধান দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশগুলোতেই সীমাবদ্ধ।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
তুর্কি গণমাধ্যম জানিয়েছে পুলিশের দপ্তরের প্রবেশ পথে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। বিস্ফোরণে আশপাশের আবাসিক ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দিয়ারবাকির প্রদেশে পিকেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে তুর্কি সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গাড়িবোমাটি থানায় প্রবেশের পথে পেতে রাখা হয়েছিল বলে তুর্কি গণমাধ্যম জানিয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে নিকটবর্তী আবাসিক ভবনগুলোর ক্ষতি হয়েছে। এসব ভবনে পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিবারবর্গ বাস করে। বিস্ফোরণের পরপরই হামলাকারীরা থানার দিকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে।
কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার না করলেও সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, কুর্দি-প্রধান প্রদেশটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পিকেকে ব্যাপক সক্রিয় থাকায় ওই গোষ্ঠীই এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দিয়ারবাকির প্রদেশে তুরস্কের সেনাবাহিনীর সঙ্গে পিকেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। এমনকি দিয়ারবাকির শহরসহ আরো কয়েকটি এলাকায় কার্ফিউ জারি করতে হয়েছে।
১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের কুর্দি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর জন্য স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে সশন্ত্র আন্দোলন করে আসছে পিকেকে গেরিলারা। দেশটির সরকার এ গোষ্ঠীকে বেআইনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।