অগ্রসর রিপোর্ট: সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের নামে বরাদ্দ কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিকিউরিটি সার্ভিস ডিভিশনের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই সপ্তাহ পর এমন সিদ্ধান্ত নিলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্ট পান।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের নামে বরাদ্দ কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সচিব মো. মশিউর রহমান জানান, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হয়েছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে আদেশ জারি করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই অভিবাসন ও পাসপোর্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং আশা করছি শিগগির আদেশ জারি করা হবে।’
সংসদ সদস্যের পরিবারের সদস্যদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমরা যেহেতু কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করছি, এতে সাবেক মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্টও বাতিল হয়ে যাবে। যদি কেউ (কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী) নতুন পাসপোর্ট নিতে চান, তাহলে প্রথমে লাল পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং তারপর আইন অনুযায়ী একটি সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।’
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেলে সাবেক মন্ত্রী-এমপি যাদের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পেলেই তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।