অগ্রসর রিপোর্ট: শেখ হাসিনার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও হাস্যকর’ বলে আখ্যায়িত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে– এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “এটা হাস্যকর। শেখ হাসিনার পদত্যাগের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল এমন কোনো ধারণা একেবারেই মিথ্যা।”যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রচুর বিভ্রান্তিমূলক খবর দেখেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে সোমবার একই অভিযোগের বিষয়ে হোয়াইট হাউস বলেছে, বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগ ‘কেবলই মিথ্যা’।
হাউস রবিবার ভারতের ইকোনমিক টাইমস পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে ভূমিকা পালন করেছে। কারণ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়। পত্রিকাটি বলেছে, হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।
হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় রবিবার এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন, তিনি কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি।
সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে গত ছয় মাস ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রদের বিক্ষোভের পর সম্প্রতি বিক্ষোভ ও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। এতে ছাত্র-জনতা-পুলিশসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ হতাহত হয়।
তীব্র গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।
এরপর নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করে যাত্রা শুরু করেছে নতুন সরকার।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা গত জানুয়ারিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন, যা বিরোধীরা বয়কট করে। তখন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছিল, ওই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।