ধন মিয়ার পুতুল নাচ শৈশবে প্রভাব ফেলেছিল নৃত্যশিল্পী মো. আল সাইফুল আমিনের (জিয়া) শিশুমনে। সেই প্রভাব এতটাই প্রবল ছিল, তা দেখা গেলো তার তিন যুগ পর।
জিয়ার হাত ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি স্কুলে শিশুদের পুতুলনাচের আদলে তৈরি ভিডিও।
কেউ কেউ বলছেন, এ যেন লোকায়ত সংস্কৃতিরই নবরূপে ফিরে আসা। আবার সত্যিকারের পুতুলনাচ বিলুপ্ত হওয়ায় হতাশাও ঝরেছে কারো কণ্ঠে।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড গার্লস হাই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষক ও নৃত্য প্রশিক্ষক মো. আল সাইফুল আমিন (জিয়া) তার ‘মেহেক জিয়া’ নামের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে দেখা যায় শিশুরা পুতুল সেজে ‘এই যে দুনিয়া’ গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করছে।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে রীতিমতো ঝড় তোলে। অনেকেই সেই ভিডিওটি কপি করেও ফেইসবুকে শেয়ার করেন। দেশের বেশিরভাগ গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশ হয়। নেট দুনিয়ায় ব্রাহ্মণাবাড়িয়ার পুতুলনাচের সুখ্যাতিও করেন অনেকে।
উপমহাদেশে পুতুলনাচের জন্য বিখ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আর পুতুলনাচের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে যিনি বিশ্বে পরিচিত করেছিলেন তার নাম ধন মিয়া, তিনি এখন প্রয়াত। মূলত ধন মিয়ার ‘রয়েল বীণা অপেরা’র মাধ্যমেই পুতুল নাচের খ্যাতি ছড়িয়েছিল বিশ্বজুড়ে। পুতুলনাচ নিয়েই ধন মিয়া ছুটে বেড়িয়েছেন দেশ-বিদেশে।
সূর্যমুখী স্কুলের বাচ্চাদের যে নাচটি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে, সেই নাচের কোরিওগ্রাফার জিয়া এবং পুতুলনাচের প্রখ্যাত শিল্পী ধন মিয়ার বসতিও একই পাড়ায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব মেড্ডায়। আগের প্রজন্মের ধন মিয়ার পুতুল নাচ এ প্রজন্মের জিয়ার হাত ধরে নতুন ভাবনায় প্রকাশিত হয়েছে।
বিলুপ্তির পথে পুতুলনাচ, ভাইরাল ‘মানব-পুতুল’
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৃত্য প্রশিক্ষক জিয়া এসেছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কার্যালয়ে। স্বল্প সময়ের আলাপে জিয়া বললেন, ধন মিয়ার পুতুলনাচই তাকে এই কোরিওগ্রাফিটি করতে অনুপ্রাণিত করেছে।
জিয়ার ভাষ্য, “ছোটবেলা থেকেই পুতুলনাচ বলতে আমরা যাকে চিনতাম, তিনি ধন মিয়া কাকা। আব্বার সাথে উনার ভালো ফ্রেন্ডশিপ ছিল। সেই সুবাদে আমারও অনেকবার পুতুলনাচ দেখা হয়েছে। ধন মিয়া কাকা বিভিন্ন মেলা-বান্নিতে পুতুলনাচ করতেন। আমাদের বাসায় এসেও পুতুলনাচ দেখাইছেন। ফলে ছোটবেলা থেকেই পুতুলনাচের প্রতি আগ্রহ জন্মে আমার। তখন ধন মিয়া কাকার বাড়িতে গিয়েও পুতুলগুলো ঘেঁটেঘুঁটে দেখতাম, কীভাবে নাচে পুতুল? তখন দেখতাম যে সুতা দিয়ে নাচ করানো হয়।”
সেই ভাবনা থেকেই পুতুলনাচের আদলে তিনি নাচের কোরিওগ্রাফিটি করেছেন জানান। যে ধন মিয়ার পুতুলনাচ শিশুমনে প্রভাব ফেলেছিল নৃত্যশিল্পী জিয়ার, এখন কেমন আছে সেই পুতুলগুলো? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একরাশ হতাশার গল্প।
নিথর পড়ে আছে ধন মিয়ার পুতুল সংসার
ধন মিয়ার ৬ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে শামীম মিয়া বর্তমানে এই পুতুলনাচকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসবাসরত দেশের খ্যাতিমান গবেষক জয়দুল হোসেন।
তিনি বলেন, “ধন মিয়ার মৃত্যুর পর কিছুদিন এই পেশাটা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন ধন মিয়ার ভাই খেলু মিয়া। বছরখানেক আগে খেলু মিয়াও মারা গেছেন। বাবার কাছ থেকে ছোটবেলায় পুতুল নাচানো শিখেছিলেন ধন মিয়ার ছোট ছেলে শামীম। দুই দশক ধরে একমাত্র শামীমই পুতুনাচের সঙ্গে যুক্ত আছেন।”
শুক্রবার শহরের পূর্ব মেড্ডায় ধন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে শামীমের দেখা পাওয়া যায়নি। জানা যায়, শামীম এখন রং মিস্ত্রির কাজ করেন। রাতে বাড়ি ফিরবেন। পরে মোবাইল ফোনে কথা হয় তার সঙ্গে।
বিলুপ্তির পথে পুতুলনাচ, ভাইরাল ‘মানব-পুতুল’
শামীম মিয়া বলেন, মাস দুয়েক আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিল্পকলা একাডেমির একটা অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছিলেন। ৭/৮ মাস আগে শিল্পকলারই আরেকটা অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের একটি স্কুলে পুতুলনাচ দেখিয়ে এসেছেন।
বছরে দু-তিনটা অনুষ্ঠান করে সংসার চালানো সম্ভব না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “স্কুল-কলেজে যেসব অনুষ্ঠান হয়, সেখানে যদি আমাদের ডাকত, তাইলে পুতুল নাচাইয়া পেট চালাইতে পারতাম। আগে মেলা, বান্নি হইত, এখন তো সেসবও বন্ধ হয়ে গেছে। অনুষ্ঠান কমে গেছে, এজন্য আর পুতুলনাচ হয় না। তবে যে দু-এক জায়গায় এটা হয়, মানুষ তো আনন্দ পায়। কিন্তু পুতুলনাচের জন্য কেন ডাকে না বুঝি না।”
গবেষকরা মনে করছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুতুলনাচের প্রায়োগিক ভাবনায়ও পরিবর্তন আনতে হবে এবং সময় উপযোগী গল্প উপস্থাপন করে মানুষকে দেখাতে হবে।
বিলুপ্তির পথে পুতুলনাচ, ভাইরাল ‘মানব-পুতুল’
পুতুলনাচ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক রশীদ হারুন। তিনি আবহমান বাংলায় পুতুলনাচ বলে পরিচিত শিল্পমাধ্যমটিকে তিনি ‘পুতুলনাটক’ নামে অভিহিত করেন এবং প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বাংলাদেশ পুতুলনাট্য গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র’। পুতুলনাটককে জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠান।
রশীদ হারুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করে ৫০টির মতো জায়গায় পুতুলনাট্যের তথ্য পেয়েছিলাম, যার মধ্যে ১০ থেকে ১২টা দল এখনো টিকে আছে। তবে তাদের অনেকেই আর নিয়মিত চর্চায় নেই। যারা টিকে আছে, তাদের বেশিরভাগেরই মৌলিক গল্প নেই। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দলগুলো ছিল ব্যতিক্রম।”
নতুন প্রয়োগ ভাবনা, গল্প না থাকলে সেটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয় উল্লেখ করে রশীদ হারুন বলেন, “ঐতিহ্যবাহী দল যেগুলো আছে, তাদেরকে একবার শিল্পকলা থেকে কিছু অনুদানও দেয়া হয়েছিল, নতুন প্রযোজনা আনার জন্য। তাদের অনেকে সেটি করতে পারেননি। কেউ কেউ আবার পুরনো যে গল্প সেটিই উপস্থাপন করেছেন। এখন সময়ের সঙ্গে গল্প এবং প্রয়োগ ভাবনাও আধুনিক করতে হবে।”
মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ‘জলপুতল পাপেটস’
সময় উপযোগী ভাবনা নিয়ে ঢাকার জলপুতুল পাপেটস এখন ভালো কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন রশীদ হারুন।
ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচ নতুন রূপে মানুষের মাঝে এনে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে ঢাকার কয়েকজন নাট্যকর্মীর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান জলপুতুল পাপেটস। ঢাকার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা যায় তাদের পরিবেশনা। তেঁতুলতলা মাঠ আন্দোলনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদী আয়োজনেও সাড়া ফেলেছে জলপুতুলের পরিবেশনা। বিভিন্ন স্কুলে গিয়েও তারা কর্মশালা করিয়ে তৈরি করছেন শিল্পী।
জলপুতুল পাপেটসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল জার্নাল বলেন, “২০০৩/০৪ সালের দিকে মুস্তাফা মনোয়ার স্যার পুতুলনাচের উপর একটি কর্মশালা করিয়েছিলেন। বিভিন্ন থিয়েটার দলের ছেলেমেয়েরা সেখানে অংশগ্রহণ করেছিল। সেই কর্মশালায় আমি এবং আমার বন্ধু শাহরিয়ার শাওন অংশ নিয়েছিলাম। পরে আমরা বাসাতেই পুতুল বানানোর কাজ শুরু করি। এরপর আমাদের সঙ্গে আরও বেশকিছু বন্ধু যুক্ত হয়, তাদের প্রায় সবাই থিয়েটারচর্চায় যুক্ত। ২০০৫ সাল থেকে জলপুতুল পাপেটস পথচলা শুরু করে। রাহুল আনন্দ, ঊর্মিলা শুক্লা আমাদের ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। এখন অনেক তরুণই কাজ করছেন এই দলে।”
বিলুপ্তির পথে পুতুলনাচ, ভাইরাল ‘মানব-পুতুল’
ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচেরই উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে জলপুতুল পাপেটস উল্লেখ করে জার্নাল বলেন, “আমরা চেষ্টা করি, এই সময়ের উপযোগী করে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়ের সামনে গল্পগুলো বলতে। ফলে আমাদের পাপেট শোয়ের অনেকেই প্রশংসা করছে।”
জিয়ার নাচের কোরিওগ্রাফি কেন ভাইরাল?
এখন যে সময়, তাতে কখন কোন বিষয়টা ভাইরাল হবে তা আগে থেকে বোঝা বড় কঠিন। নৃত্য শিক্ষক জিয়াও জানতেন না তার ভিডিওটি এভাবে ভাইরাল হবে।
জিয়া বলেন, “পুতুলনাচের আদলে এই কোরিওগ্রাফিটি গত বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত বৈশাখী উৎসবে আমি প্রথম করেছিলাম। সেখানে বড় মেয়েদের একটি দল অংশগ্রহণ করেছিল। সেটি সবার নজরে আসেনি, এভাবে ছড়ায়নি। কিন্তু এবার সূর্যমুখী স্কুলের মেয়েদের করা নাচটি এত ছড়িয়েছে। আমি ট্রেনে উঠতেছি, অনেকেই জড়াইয়া ধরতেছে। সবাই এতটাই পছন্দ করছে, আমি বলে বোঝাইতে পারব না।”
শিল্পের একটি শাখা থেকে প্রভাবিত হয়ে আরেকটি শাখায় এটি নবরূপে বিকশিত হয়েছে। ফলে এটি মানুষের মাঝে যে ছড়িয়েছে, সেটিই শিল্প বা সংস্কৃতির শক্তি উল্লেখ করে গবেষক জয়দুল হোসেন বলেন, “তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে এটা তো পুতুলনাচ নয়। কেউ কেউ এটাকেই পুতুলনাচ বলে অভিহিত করছেন। এই কোরিওগ্রাফিতে তো মানুষ পুতুলরূপে নেচেছে। আমরা পুতুলনাচে কিন্তু অনুভূতিহীন পুতুলকে দেখি মানুষের অনুভূতি নিয়ে প্রকাশিত হয়। আর এই নাচে দেখেছি অনুভূতিপ্রবণ মানুষকে, যারা অনুভূতিহীন পুতুলরূপে নেচেছে। এটাও এক ধরনের নতুন চিন্তার খোরাক যোগাবে।”
ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচকে রক্ষায় বা নতুন ভাবনায় কিভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়, তা নিয়েও নতুন প্রজন্মকে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন জয়দুল হোসেন।
ভিডিওটি দেখেছেন গবেষক রশীদ হারুন, ভালোও লেগেছে তার।“এর আগেও এরকম নাচের কোরিওগ্রাফি দেখেছি। কিন্তু এখানে বাচ্চারা বেশ ডিটেইল কাজ করতে পেরেছে। সুতা নাড়ানো এবং হাত-চোখ-মুখ দেখে তাদের সত্যিকারের পুতুলই লেগেছে। কাজটিতে পুতুলনাচের যে ঐতিহ্যবাহী রূপ সেটা পাওয়া যায়। নান্দনিক কোনো বিষয়ের প্রতি কিন্তু মানুষের ভালো লাগা কাজ করেই। এজন্যই হয়তো এটি ভাইরাল হয়েছে।”
নাচ নিয়ে নানারকম নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হলেও পুতুলনাচের এই কোরিওগ্রাফিটি করতে গিয়ে সবার কাছে বেশ সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানান নৃত্য শিক্ষক জিয়া।
স্বাধীনতা দিবসে পুতুলনাচের আদলে এই নাচের কোরিওগ্রাফি আর বড় পরিসরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেডিয়ামে করার স্বপ্ন দেখেন জিয়া।
টেলিভিশনে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাপেট শিল্পকে নতুন প্রজন্মের মাঝে জনপ্রিয় করতে চেষ্টা করেছিলেন শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। তার নির্মিত পাপেট চরিত্র পারুল, বাঘা ও মিনি ভীষণ জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল। এডুকেশনাল পাপেট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (ইপিডিসি) প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এটি মূলত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পাপেট (পুতুলনাচ) শিল্পকলা বিকাশ ও সম্প্রসারণের একটি প্রতিষ্ঠান। দ্য রয়্যাল নরওয়েজিয়ান অ্যামবেসির পৃষ্ঠপোষকতায় ও আর্থিক সহায়তায় এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গেছে, পাপেটের মুখ থেকে শোনা কথা শিশুরা বেশি মনে রাখতে সক্ষম হয়। এই কারণে শিশু শিক্ষায় পাপেটের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। এজন্যই ‘এডুকেশনাল পাপেট ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ (ইপিডিসি) গড়ে উঠেছে। পাপেট অভিনয় কলা, কণ্ঠ অনুশীলন, পাপেট চালনা, পাপেট নির্মাণ কৌশল, বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান ও পাপেট অনুষ্ঠান প্রদর্শন করা হচ্ছে এবং উল্লিখিত বিষয়ে ইপিডিসিতে নানা গবেষণাও হচ্ছে।