অগ্রসর রিপোর্ট : ইসরাইলের মতো ফিলিস্তিনেরও রাষ্ট্র গঠনের অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। গাজা পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার ঢাকায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান চীনের রাষ্ট্রদূত। মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে জাতিসংঘকে যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানায় চীন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ফিলিস্তিনের প্রশ্নটি মধ্যপ্রাচ্য সংকট কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং এই ক্ষত আজকের বিশ্বে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণ ফিলিস্তিনে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দীর্ঘ বিলম্ব ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি ঐতিহাসিক অবিচারের প্রতিকারে ব্যর্থতা।’ তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের মতো ফিলিস্তিনেরও রাষ্ট্র গঠনের অধিকার আছে। ইসরাইলিরা নিজেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার চিন্তা কে করবে?’
‘ইহুদি জাতি পৃথিবীতে এখন আর গৃহহীন নয়, কিন্তু ফিলিস্তিনি জাতি কবে ফিরবে তাদের ঘরে? বিশ্বে অনেক অন্যায় আছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি যে অবিচার তা অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এ দুর্ভোগ, যা চলতে দেওয়া যায় না’, বলেন চীনা দূত।
সমাধান হিসেবে দুই রাষ্ট্র ও একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কথা বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, এর মাধ্যমেই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল শান্তিতে সহাবস্থান করতে পারে এবং আরব ও ইহুদিরা সম্প্রীতিতে বসবাস করতে পারে।
এক বিবৃতিতে চীনা দূত বলেন, সংকট দূর করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে।
চলমান সংঘাতের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ বন্ধের জন্য সব প্রচেষ্টা করতে হবে। যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া থামাতে হবে এবং পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না হয় এ বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করা এখন শীর্ষ অগ্রাধিকার বলে চীন বিশ্বাস করে।
চীন বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সব সহিংসতা ও হামলার নিন্দা জানায় এবং আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে এমন সব কাজের বিরোধিতা করে বলে জানান তিনি। চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, শক্তির নির্বিচার ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য এবং ফিলিস্তিনি বা ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। জাতিসংঘের কর্মীসহ অন্যান্য মানবিক সংস্থার কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
চীনা দূত জানান, মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে চীনা সরকারের বিশেষ দূত শিগগিরই ওই অঞ্চলে সফর করবেন। সহিংসতা বন্ধ ও পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সক্রিয় প্রচেষ্টা চালাবেন।