অগ্রসর রিপোর্ট:
বড় ছেলেকে বিয়ে করিয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। সহকর্মীর ছেলের বিয়ের সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পেয়ে হতাশ সংগীত শিল্পী ও সাংসদ মোমতাজ বেগম।
অতি সম্প্রতি রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে সম্পন্ন হয় সেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। সেখানে নামকরা অনেক গায়ক-গায়িকা, গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দাওয়াত পাননি কণ্ঠশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। এতে হতাশ তিনি।
মমতাজ তার সেই হতাশার কথা ব্যক্ত করেছেন ফেসবুকের পাতায়। মঙ্গলবার গায়িকা তার পেজে লিখেছেন, ‘হায়রে রাজনীতি!!!! আজকে যদি এমপি না হইতাম তাহলে একটা বিয়ের দাওয়াত খেতে পারতাম।’
কিন্তু কেন দাওয়াত পেলেন না মমতাজ? অনেকে মনে করছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হয়েছেন মমতাজ। অন্যদিকে আসিফ আকবরের নাম জড়িয়ে আছে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে। সেই রাজনৈতিক বৈরিতার কারণেই দাওয়াত পাননি মমতাজ। পরে মমতাজের পোস্ট সেই ধারণাকে আরও পাকাপোক্ত করে।
যদিও মমতাজের পোস্টে আসিফ একটি মন্তব্যের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। গায়ক লিখেছেন, ‘প্রিয় মম ( মমতাজ এমপি)। তুমি আমি সেরা পারিবারিক বন্ধু। এখানে কোনোদিনই রাজনীতি প্রবেশের সুযোগ নেই। মাত্র চার দিন সময় পেয়েছি ছেলের বিয়ের জন্য। সবকিছুই হুট করে হয়ে গেছে। তোমাকে কন্টাক্ট করার মত সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা আমার কাছে নাই।’
মমতাজকে তিনি মন থেকে ফিল করেছেন উল্লেখ করে আসিফ লিখেছেন, ‘আমি তোমার সবসময়ের বন্ধু। একদিন সময় দাও বাচ্চাদেরসহ আমরা বাসায় তোমার সারাদিন দাওয়াত। কষ্ট নিও না বন্ধু, ভুল হলে ক্ষমা চাই। নিশ্চয়ই দ্রুত আমাদের দেখা হবে। ভালোবাসা অবিরাম বন্ধু। আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কে রাজনীতির কোনো চর্চাই নেই। যা তুমি খুব ভালো করেই জানো!’
গত ২৪ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার ছেলে গায়ক আসিফের বড় ছেলে রণর সঙ্গে গোপালগঞ্জের মেয়ে ইসমত শেহরীন ঈশিতার বাগদান সম্পন্ন হয়। এরপর গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে তাদের গায়ে হলুদ সম্পন্ন হয়। একই জায়গায় সোমবার হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
এদিন সেখানে শোবিজ থেকে হাজির ছিলেন কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা, কনকচাঁপা, কুমার বিশ্বজিৎ, গীতিকার কবির বকুল, সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন, চিত্রনায়িকা নিপুণ এবং এ প্রজন্মের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা, নিশিতা বড়ুয়া, সালমা ও কোনালসহ অনেকে। #