অগ্রসর রিপোর্ট : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮৭ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ১৭৫ জন।
নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ছয় হাজার ৬৮৪ জনের শরীরে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০২ জন।
রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৪০৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩ হাজার একজনের। উল্লিখিত সময়ে শনাক্তের হার ২০.২৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনের করোনা শনাক্তের প্রায় দ্বিগুণ সুস্থ হয়েছেন। উল্লিখিত সময়ে করোনামুক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩৭১ জন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৯২ হাজার ৬৯৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১২ জন, খুলনা বিভাগে ২১ জন, বরিশাল বিভাগে আটজন, সিলেট বিভাগে ১৩ জন, রংপুর বিভাগে ১৩ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন মারা গেছেন।
মারা যাওয়া ১৮৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১০১ জন ও নারী ৮৬ জন। এর মধ্যে বাসায় তিনজন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এর মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৫৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১০ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন রয়েছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে অবস্থান করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়। অনন্ত শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে নামলে কিছুটা আশাবাদী হওয়া যেতে পারে।