অগ্রসর রিপোর্ট :ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে মুসুল্লিদের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকা। বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টায় বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও মুসুল্লিরা। সাংবাদিক, পুলিশ ও মুসুল্লিসহ অর্ধশতাধিক আহতকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুম্মার নামাজের পর ইসলামিক সংগঠনগুলো বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা চালায়। বিক্ষোভের আশঙ্কায় আগে থেকে তৈরি থাকা পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া থেকে সংঘর্ষ বেধে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে লাঠিচার্জ করে মুসুল্লিদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা চালায়। পুলিশের সাঁজোয়া যান ও জলকামান মোতায়েন রয়েছে।
মুসুল্লিদের দাবি, পুলিশের লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেলে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জন মুসল্লি আহত হয়েছেন। অনেককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সদস্যরা বলেন, মুসুল্লিরা ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করলে বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন তারা। মুসুল্লিদের ছোড়া ইট-পাটকেলে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
জুম্মার নামাজের আগে থেকেই মোতায়েন বায়তুল মোকাররম মসজিদ, জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন, নয়াপল্টন, মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যের ব্যাপক নিরাপত্তা রয়েছে এখনো। পোশাকে টহল ও সাদা পোশাক গোয়েন্দা পুলিশ ও করছে কঠোর নজরদারি।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকালে ঢাকায় এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত কয়েক দিন ধরে মোদির সফরের বিরোধিতা করছিলেন ইসলামিক দলগুলো এবং ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ।