অগ্রসর রিপোর্ট :কংগ্রেস ভবনে হামলার জেরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসনের সঙ্গে সঙ্গে ডেমোক্র্যাটরা পরমাণু অস্ত্রের কোডের ব্যাপারটি নিয়েও উদ্বিগ্ন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্পকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ আখ্যা দিয়ে শুক্রবার স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, তিনি সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মার্ক মাইলির সঙ্গে কথা বলেছেন যে এমন মানসিক অবস্থায় থাকা প্রেসিডেন্টের কাছে পরমাণু হামলা চালানোর যোগ্যতা থাকা উচিত কি না।
পরমাণু নিরাপত্তার বিষয়ে হাউস ডেমোক্র্যাটদের আশ্বাস দিয়েছেন পেলেসি। জয়েন্ট চিফদের পাঠানো চিঠিতে ডেমোক্রেটিক সিনেটর এড মার্কি ও রিপাবলিকান সিনেটর জিম ম্যাকগভার্ন বলেছেন, ‘পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে তারা যেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো আদেশ না মানেন।’
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের হাতে এখন যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের একক ক্ষমতা রয়েছে। কারণ, সাংবিধানিকভাবে তিনিই সামরিক বাহিনীর প্রধান।
প্রেসিডেন্টের আদেশ মানতে সামরিক সদস্যরা বাধ্য। তবে আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলে তারা আলাপ করে সেই আদেশের সংস্কার করতে পারেন। অমান্য করতে পারবেন না।
প্রেসিডেন্ট তার পরামর্শকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবেন। তবে অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
২০১৬ সালে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক পরিচালক জেনারেল মাইকেল হেইডেন বলেন, এই প্রক্রিয়া আসলে আদেশের বাস্তবায়নের দ্রুততার জন্য করা রয়েছে। বিতর্ক তৈরি করার জন্য।
মার্কিন সামরিক বাহিনীও এখন ট্রাম্পকে দায়িত্ব থেকে সরাতে চাইছে। বুধবার কংগ্রেস ভবনে হামলার পর তারাও একটি অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে। এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পারকে সরিয়ে ক্রিস্টোফার মিলারকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়াতেও অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছিল। সে সময় তো অভ্যুত্থানেরও শঙ্কা তৈরি হয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে ওয়াশিংটন পোস্টে কলাম লেখেন সাবেক ১০ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করা সাবেক কর্মকর্তারা মিলার ও তার সহকর্মীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বুধবার কংগ্রেস ভবনে হামলার পর সেখানে তাৎক্ষণিক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের প্রাথমিক অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে প্রতিরক্ষা দপ্তর।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স দিয়েছেন, ট্রাম্প নন। অথচ ভাইস প্রেসিডেন্ট সামরিক চেইন অব কমান্ডে নেই।