অগ্রসর রিপোর্ট :কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে নির্মাণ করা হলো বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য।
বুধবার দুপুরে ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের ডিসি মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর জাতির জনকের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ১০০টি কবুতর উড়িয়ে এই ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হয়। এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
উদ্বোধনী ঘিরে সৈকতজুড়ে উৎসবের বর্ণিল আবহ ছড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে আসতে শুরু করে। ভীড়ের মিছিলে ছিল পর্যটকরাও। উদ্বোধন উপলক্ষে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো হয় অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ। সাগরের বিশাল জলরাশির বুক ভেদ করে একদল তরুণ লাল সবুজের পতাকা নিয়ে জেডস্কীর মাধ্যমে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে। এ সময় হাজার হাজার মানুষ বিজয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে।
ডিসি কামাল বলেন, “কুষ্টিয়াসহ দেশের কয়েকটি স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় ভাস্কর্য নির্মাণের মাধ্যমে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে শিল্পকর্মটি উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিবাদের ঢেউ সাগর তীর থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
ডিসি আরও জানান, কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে একটি স্থায়ী ভাস্কর্য নির্মাণও প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে প্রস্তাবাধীন ভাস্কর্যটির নকশা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে তৈরি ভাস্কর্য উদ্বোধনীতে বক্তব্য দেন কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী ও ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের সিসি কমিটির সদস্য ইশতিয়াক আহমদ জয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করেছে ‘ব্র্যান্ডি কক্সবাজার’নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ব্র্যান্ডি কক্সবাজারের সমন্বয়ক ইশতিয়াক আহমেদ জয় ও ভাস্কর্য নির্মাতা টিমলিডার কামরুল ইসলাম শিপনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনের একটি টিম এই অপরূপ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। সপ্তাহব্যাপী কঠোর পরিশ্রম করে প্রায় ৬ ফুট উচ্চতা ও ১৪ ফুট প্রশস্ত এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন তারা। নির্মাতাদের দাবি এ যাবতকালে বাংলাদেশে নির্মিত সবচেয়ে বড় বালুর ভাস্কর্য এটি।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের কক্সবাজার সংবাদ প্রতিনিধি জাহেদ সরওয়ার সোহেলের সঞ্চালনায় উদ্বোধনীতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শ্রাবস্তী রায়, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলি, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিত দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিত, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান প্রমুখ।