অগ্রসর রিপোর্ট : আজারবাইজানের জয়ে উচ্ছ্বসিত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবার আর্মেনিয়ার সরকার পরিবর্তন চান। আজারিদের বিজয় উৎসবে যোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন তিনি।
বিজয় উৎসবে আজেরি সেনার প্যারেডের পাশাপাশি তুরস্কের ড্রোনের মহড়া হয়। যা আর্মেনিয়াকে যুদ্ধের ময়দানে হারাতে সাহায্য করেছে। অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, ‘আর্মেনিয়ার নতুন সরকার কিছু শর্ত মানলে আজারবাইজানের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা হতে পারে এবং তুরস্কের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সীমান্তও খুলে দেয়া হতে পারে।’ খবর ডয়চে ভেলে।
আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে আজারবাইজানকে সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য ও সমর্থন দিয়েছে তুরস্ক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, আজারি সেনাকে শক্তিশালী করতে সিরিয়া থেকে বাহিনী সরিয়ে এর্দোয়ান সেখানে পাঠিয়েছেন। ফলে আজারবাইজানের জয় সহজ হয়েছে। এই সংঘাতে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মস্কোর মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এর ফলে নাগর্নো কারাবাখের আর্মেনীয়-বহুল এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হয়েছে আর্মেনিয়াকে। এমনকী ১৯৯০ পরবর্তী সময়ে তাঁরা যে ছয়টি জেলা অধিকার করেছিল, সেগুলিও আজারবাইজানকে দিয়ে দিতে হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে এরদোগান বলেছেন, ‘আমরা আশা করি আর্মেনিয়ার মানুষ তাঁদের বর্তমান নেতৃত্বের বোঝা থেকে মুক্তি পাবেন। এই নেতারাই অতীতে তাঁদের মিথ্যা কথা বলে বুঝিয়েছে এবং দারিদ্রের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।’
তিনি জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়া, আজারবাইজান, ইরান, জর্জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য। সেখানে সম্ভব হলে আর্মেনিয়াও থাকবে। এরদোগানের দাবি, আর্মেনিয়ার সেনা যুদ্ধাপরাধ করেছে। তারা শহর, গ্রাম, মসজিদ ধবংস করেছে। তাই তাঁদের বিচার হওয়া উচিত। আর্মেনিয়ার সেনা অবশ্য দাবি করে, তারা নয়, এ সব ধ্বংস হয়েছে আজারি সেনার আক্রমণে।
এরদোগান জানান, ‘আমরা এখানে সমবেত হয়েছি, একটা অসাধারণ জয়ের উৎসব করতে। আজারবাইজান নিজের জমি ফিরে পেয়েছে। তবে তার মানে এই নয়, সংঘাত শেষ। যে সংঘাত রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ছিল, সেটা এ বার অন্য ফ্রন্টে হবে।’