মোঃ আব্দুল ওয়াহাব রিংকো,গাজীপুরঃগাজীপুর জেলা লিগ্যাল এইড (জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা) অফিসের অফিস সহকারী নূরুন নাহার আক্তারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রতারনার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গাজীপুর নগরীর সদর থানাধীন লাগালিয়া গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সোনিয়া আক্তার মীম (২৪)। বুধবার (৩০সেপ্টেম্বর) গাজীপুর জেলা লিগ্যাল এইড দপ্তরে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বরাবরে মীম এই অভিযোগ দায়ের করেন।উক্ত অভিযোগে জানা যায়, সোনিয়া আক্তার মীম জানায়, ইং ১/১১/১৩ তারিখ ইসলামী শরীয়া মোতাবেক নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার আমদিয়া গ্রামের মোঃ আমজাদ হোসেনের ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলামের সাথে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। প্রায় চার বৎসর পর স্বামী বিদেশ চলে যান এবং তারপর থেকে স্বামীর বাড়ীর লোকজনদের সাথে মতানৈক্য সৃষ্টি হওয়ায় আমি আমার বাবার বাড়ীতে বসবাস করিতে থাকি। পরে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ও স্বামীর সাথে বিবাদ মিটিয়ে সংসারে ফিরে যাওয়ার জন্য আইনগত ব্যবস্থার সহায়তা পেতে গাজীপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে গেলে অফিস সহকারী নূরুন নাহারের সাথে কথা বলিলে তিনি তাহার মোবাইল নাম্বার দেন এবং বলেন ব্যক্তিগত ভাবে তাহার সাথে যোগাযোগ করিতে। পরে নূরুন নাহারের ব্যাক্তিগত নাম্বারে যোগাযোগ করিলে তিনি বলেন, তুমি লিগ্যাল এইড অফিস থেকে কোন প্রতিকার পাবে না, তোমাকে ব্যক্তিগত আইনজীবী দিয়ে রাষ্ট্রবাদী মামলা সহ একাধিক মামলা করিতে হবে। আমি তোমাকে সকল সহযোগীতা করব, যাহাতে তুমি তোমার স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে পার। এরপর থেকে বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন মামলা বাবদ বিভিন্ন অংকে মোট ৫২ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে নূরুন নাহার আত্মসাৎ করেছেন।অভিযোগকারী মীম আরও জানান, আমাকে ভুল বুঝিয়ে টাকা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা করে আমাকে স্বামীর সংসারে যাওয়ার ব্যবস্থা করেননি। পরে আমার নিকট হইতে আমার স্বামীর বাড়ির লোকজনের মোবাইল নাম্বার নিয়ে তাদের কাছ থেকে উৎসুখ নিয়ে আমাকে প্রতারণার মাধ্যমে ডিভোর্স পেপারে দস্তখত নিয়েছেন যাহা আইনের পরিপন্থী।মীম জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে নূরুন নাহার আমাকে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করিতেছেন। হুমকি প্রদানের কারনে মীম গাজীপুর সদর থানায় গত পহেলা অক্টোবর একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আরিফ হোসেনকে মীমের সাধারন ডায়েরি বিষয়ে জিজ্ঞেস করিলে তিনি জানান, অভিযুক্ত নুরুন নাহারকে ফোন করেছি, কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে, এ বিষয়ে খুবই দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করিব।গাজীপুর জেলা লিগ্যাল এইড দপ্তরের অফিস সহকারী নূরুন নাহার আক্তারকে জিঞ্জাসা করিলে তিনি জানান, মৌখিক ভাবে বিষয়টি শুনেছি যে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে তবে এখনও কোন লিখিত পাইনি।অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ইসমেত জিহানকে তার দাপ্তরিক টেলিফোনে যোগাযোগ করিলে তিনি টেলিফোন রিসিভ করেননি।গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির উদ্দিন আহম্মেদের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আইন আদালতের ব্যাপার তাই অভিযোগ না দেখে কোন মন্তব্য করা যাবেনা। তবে গাজীপুর আইনজীবী সমিতির সদস্য আসাদুল্লাহ বাদল জানান, আইনজীবী ছাড়া কেউ মামলা পরিচালনা ও মামলার ফিসের ব্যাপারে লেনদেন করলে তিনি টাউট হিসাবে গন্য হবেন। টাউট যে কোন স্থানে বিব্রতকর।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।