অগ্রসর রিপোর্ট : আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিল সুন্দর, সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হওয়া এবং অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের সমন্বয়ে গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় ও তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সভাপতি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত কমিটিতে তৃণমূলের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে বলে তারা মনে করেন।
চট্টগ্রাম থেকে সম্মেলন ও কাউন্সিলে অংশ নেয়া নেতৃবৃন্দের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তাঁরা তাঁদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে বলেন, ‘এক কথায় আমরা তৃপ্ত। এত বড় একটি আয়োজন অত্যন্ত সুচারুভাবে সম্পাদন করা দলের শক্ত ভিত্তি ও শৃঙ্খলার একটি বড় উদাহরণ। অভিজ্ঞ ও তরুণদের সমন্বিত আগামী নেতৃত্ব দলকে যেমন সুসংগঠিত করবে, তেমনি সরকারের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
আজ শনিবার কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের পুনরায় সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় কমিটিতে চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান ও রাজনীতিক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন পুনরায় সভাপতিম-লীর সদস্য, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ যুগ্ম-সম্পাদক ও ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বাসসকে বলেন, আমাদের আকাঙ্খা পূরণ হয়েছে। সঠিক নেতৃত্ব যথোপযুক্ত পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এটি তৃণমূলের প্রত্যাশারও প্রতিফলন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, নবনির্বাচিত নেতৃত্বে আমাদের শতভাগ প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আমরা অনেক খুশি। নবীন-প্রবীণের সমন্বিত এ কমিটি বাংলাদেশের সর্বকালের সর্ববৃহৎ দল আওয়ামী লীগকে আরো সুসংগঠিত করবে। মেয়র নাছির বলেন, ‘নবনির্বাচিত যুগ্ম-সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আগামীতে আরো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হবেন বলে আমি বিশ^াস করি। ইতিমধ্যে মন্ত্রী হিসেবে তিনি যেমন যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন, তেমনি কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দলকে চক্রান্তকারীদের বিষবাষ্প থেকে রক্ষা করতে সার্বক্ষণিক সচেষ্ট ছিলেন।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম বলেন, ‘অভিজ্ঞ ও তরুণের মিশেলে এ কমিটি সারাদেশের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা শতভাগ পূরণ করেছে।’
এদিকে, চট্টগ্রাম থেকে অংশ নেয়া কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা বলেছেন, এ সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের এক নতুন মাইলফলক। একমাত্র আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব এত বড় একটি আয়োজন অত্যন্ত সাফল্যের সাথে সুসম্পন্ন করা । নবনির্বাচিত নেতৃত্বও সবদিক থেকে যোগ্যতম আখ্যা দিয়ে তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে চাই এমনই সমন্বিত নেতৃত্ব। এদের নেতৃত্ব গুণই দলকে দেশ-বিদেশে আরো ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনে এগিয়ে নেবে।