অগ্রসর রিপোর্ট : ভারতে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে হওয়া মিছিল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও অ্যাক্টিভিস্টরা রবিবার সারারাত বিক্ষোভ করেছে। দিল্লির একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মারধর করার প্রতিবাদে মূলত এই বিক্ষোভ হচ্ছে।
দিল্লির শিক্ষার্থীদের সমর্থনে ভারতের আরো কয়েকটি জায়গায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভের সময় রবিবার ভারতের রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভকারীরা রাস্তা বন্ধ করে এবং বাস পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে।
আইনটি পাস হওয়ার পর থেকে উত্তর ও পূর্ব ভারতের অনেক এলাকায় বিক্ষোভ করছে মানুষ। গত পাঁচ দিনের অস্থিরতায় সেসব জায়গায় মারা গেছে ছয় জন।
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের জের ধরে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের গৌহাটিসহ ১০টি সংবেদনশীল এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে।
আসামে মানুষ যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে সেজন্য কারফিউ শিথিল করা হয় শনিবার। সেখানে সোমবার পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা তাদের নাগরিকদের উত্তর-পূর্ব ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে।