অগ্রসর রিপোর্ট : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উন্নত জাতি গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘শুধু বস্তুগত উন্নয়ন দিয়ে উন্নত জাতি গঠন করা সম্ভব নয়। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি উন্নত জাতি গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে ধরনের সমাজ ও রাষ্ট্র চাই তা গঠনে সবার অংশগ্রহণ জরুরি। আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন উন্নত রাষ্ট্র থেকে এগিয়ে। এ বন্ধন অটুট রাখতে হবে।’
আজ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘সাংবাদিকতার নীতিমালা, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও তথ্য অধিকার আইন অবহিতকরণ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের জন্য এ কর্মশালা আয়োজন করে।
কর্মশালা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মনজুরুল আহসান বুলবুল।
প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
ড. হাছান বলেন, চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও প্রধান বাণিজ্যনগরী। দেশের স্বাধীকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যম নতুন প্রজন্মের মনন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনেক ক্ষেত্রে আগের চেয়ে কমে গেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদ পরিবেশন নয়, সংবাদ তৈরি করতে হবে। এমন সংবাদ করতে হবে যাতে সমাজের তৃতীয় চোখ খুলে যায়।
তিনি বলেন, ‘দেশে অনলাইনের পাশাপাশি দৈনিক ও টেলিভিশনের অনলাইন রয়েছে। অনলাইনগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনছি। বিভিন্ন সংস্থা অনেক অনলাইন সম্পর্কে প্রতিবেদনও দিয়েছে। অনলাইনগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে হবে। অনেকেই সাংবাদিক কার্ড দিয়ে এই পেশার অমর্যাদা করছে। এদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাবগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রেস কাউন্সিল যাতে আরো কার্যকর হয়, সেলক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবাদিক কারা হবেন তা ঠিক করতে হবে। এটি ঠিক না করলে পেশার মর্যাদা ধরে রাখা যাবে না। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
নঈম নিজাম বলেন, সাংবাদিকদের মর্যাদার আসন ধরে রাখতে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। সাহসের সঙ্গে গণমানুষের কথা বলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার পক্ষে থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিকতা মূর্খ লোকের পেশা নয়। অতীতকে ধারণ করে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চিন্তা করতে হবে।
তিনি ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের অর্ডিন্যান্সমূলে গঠনের দিনটিকে গণমাধ্যম দিবস ঘোষণার দাবি জানান।