অগ্রসর রিপোর্ট : ইউনাইটেড ন্যাশনস চিলড্রেন ফান্ড (ইউনিসেফ) বৃহস্পতিবার বলেছে, মিয়ানমারে ২৫ আগস্ট সর্বশেষ সহিংসতা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আনুমানিক চার লাখ রোহিঙ্গা তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
কক্সবাজার থেকে ইউনিসেফের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত চার লাখের মতো রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখনো প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শরণার্থীদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই শিশু। আগে থেকে আশ্রয় নেয়া শরণার্থী শিবিরগুলোতে নতুন করে আসা এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার স্থান সংকুলান হচ্ছে না হওয়ায় তারা যেখানেই জায়গা পাচ্ছে আশ্রয় নিচ্ছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সামগ্রীবাহী ট্রাকগুলো কক্সবাজারের দিকে আসছে। আগামী দিনগুলোতে আরো ত্রাণ সামগ্রী আসবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফ প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বিগবেডার বলেন, ‘শরণার্থীদের জন্য বিশেষত: জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয়, খাবার ও বিশুদ্ধ পানিসহ সবকিছুরই প্রয়োজন রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিশুরা সেখানে পানিবাহিত রোগের ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে।
এডুয়ার্ড আরো বলেন, ‘এই মুহূর্তে চরম ঝুঁকিপূর্ণ এই শিশুদের রক্ষা করাই আমাদের প্রধান কাজ।’
ইউনিসেফের বিবৃতি অনুযায়ী শিশুদের জন্য পাঠানো তাদের ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে গুড়া সাবান, সাবান, পানির পাত্র, তোয়ালে, স্যানিটারি ন্যাপকিনস ও স্যান্ডেল রয়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটি পানি শোধানাগার স্থাপন ও সরবরাহে সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে সহায়তা করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নলকূপ স্থাপনে ইউনিসেফ তার অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে।’
এডুয়ার্ড বলেন, ‘এই ত্রাণ সামগ্রীগুলো বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ক্রমবর্ধমান রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য ইউনিসেফের পক্ষ থেকে প্রথম দফার জরুরি সহায়তা।’
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের সহায়তার জন্য ইউনিসেফ আগামী ৪ মাসে দাতা দেশগুলোর কাছে ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা চেয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।